স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, যুবসমাজের সমস্যার সমাধান করলেই জাতির অনেক সমস্যা সমাধান হয়ে যায়। যুবসমাজের সম্ভাবনা বিকশিত হওয়ার মতো পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করছে সরকার।
Advertisement
বুধবার (৪ অক্টোবর) ঢাকায় একটি অভিজাত হোটেলে সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) ও অ্যাকশন এইড আয়োজিত ‘এড্রেসিং দ্যা ভালনারেবিলিটি অ্যান্ড ফেসিলিটি অব ইয়ং পিপল ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।
বৈঠকে অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা। বৈঠকে ‘এড্রেসিং দ্যা ভালনারেবিলিটি অ্যান্ড ফেসিলিটি অব ইয়ং পিপল ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি গবেষণা তুলে ধরেন সানেমের জ্যেষ্ঠ গবেষণা সহকারী ইসরাত হোসেন।
গবেষণায় জানানো হয়, বাংলাদেশের যুবকরা যেসব সমস্যা মোকাবেলা করে তা হচ্ছে— গুণগত মানসম্পন্ন শিক্ষায় সুযোগ, পড়াশোনা ত্যাগ করার প্রবণতা, স্বাস্থ্যসেবার সীমিত সুযোগ, বেকারত্ব এবং কাঙ্ক্ষিত চাকরির সীমিত সুযোগ, দারিদ্র্যতা এবং আর্থিক অনিশ্চয়তা, লিঙ্গ বৈষম্য, প্রযুক্তি এবং ডিজিটাল শিক্ষায় অপর্যাপ্ত সুযোগ, জলবায়ু ও পরিবেশ পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলা, সামাজিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতা মোকাবিলা ইত্যাদি। গবেষণায় যে চারটি যুবসমাজের মূল ভাবনার বিষয় হিসেবে উঠে এসেছে তা হচ্ছে— বেকারত্ব, পারিবারিক কল্যাণ, গুণগত মানসম্পন্ন শিক্ষা এবং মানসম্পন্ন জীবনযাপনের সুযোগ।
Advertisement
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ শতভাগ বিদ্যুতায়ন এবং দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার দেশ। এটি সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ফলে। এখন যুবকরা প্রথাগত চাকরির পেছনে না ঘুরে অনেকেই ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে তাদের জীবিকা খুঁজে নিয়েছে। তবে, প্রযুক্তি শিক্ষার সুযোগ দেশের সব অঞ্চলে সমানভাবে পৌঁছাতে হবে। সরকার সে লক্ষ্যে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের বিভিন্ন মেগাপ্রজেক্ট বাস্তবায়ন করছে উল্লেখ করে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, এ প্রকল্পগুলো যুবকদের বিভিন্ন সম্ভাবনা বিকশিত করার সুযোগ উন্মুক্ত করবে। বিগত ১৫ বছরে বাংলাদেশের অগ্রগতি পর্যালোচনা করে যুবকদের আশাবাদী হওয়ার আহ্বান জানান। সমস্যা মোকাবিলা করেই সামনে এগিয়ে যেতে হবে, কখনো হতাশ হওয়া যাবে না।
আইএইচআর/এমএএইচ/জেআইএম
Advertisement