আগামী ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে স্বীকৃত সব নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে একযোগে এমপিওভুক্তির দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকরা।
Advertisement
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এমপিও নীতিমালা-২০২১ এর শর্ত সমূহ শিথিল করে রাজনৈতিক বিবেচনায় এ দাবি বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানান তারা।
বুধবার (৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে 'নন এমপিও শিক্ষক-কর্মচারী পরিষদ’ এক সংবাদ সন্মেলনে এ দাবি জানান।
লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. দবিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে এমপিওভুক্তির দাবিতে যৌক্তিক আন্দোলন করে আসছি। শিক্ষামন্ত্রী ২০২১ সালে বলেছিলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি একটি চলমান প্রক্রিয়া। প্রতিবছর এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন নেওয়া হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় ২০২২ সালে কোন আবেদন নেওয়া হয়নি। ২০২৩ সালেও আবেদন নেওয়ার কথা ছিল কিন্তু এখন পর্যন্ত তা নেওয়া হচ্ছে না। ২০২৩ সালে যদি আবেদন না নেওয়া হয় তাহলে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ দীর্ঘ ২০-২৫ বছর ধরে বিনা বেতনে কেউ চাকরি করতে পারেন না।’
Advertisement
তিনি আরও বলেন, নন এমপিও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা দীর্ঘ ২০-২৫ বছর বা তারও বেশি সময় বেতনহীন অবস্থায় রয়েছে। শিক্ষক কর্মচারীদের ব্যক্তি ও পারিবারিক জীবন ধ্বংসের পথে। বিনা বেতনে অনেকেই মৃত্যুবরণ করেছেন, অনেকেই অবসর গ্রহণ করেছেন, আবার অনেকের চাকরির বয়স শেষের দিকে। সারাবিশ্বে এটি একটি নজিরবিহীন ঘটনা। যা ডিজিটাল বাংলাদেশে প্রত্যাশা করা যায় না।
শিক্ষামন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শিক্ষামন্ত্রী নিজ নির্বাচনী এলাকা চাঁদপুরে নন-এমপিও শিক্ষকদের অমানবিক কষ্টের কথা চিন্তা করে বিশেষ বিবেচনায় ২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করেছেন। এসময় তিনি শিক্ষামন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে এমপিওভুক্তির দাবি জানান।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে ননএমপিও শিক্ষক-কর্মচারী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, অধ্যক্ষ শাহজাহান সিরাজ, অধ্যক্ষ মুনিমুল হক, অধ্যক্ষ বাকী বিল্লাহ বক্তব্য রাখেন। দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শতাধিক শিক্ষক এতে অংশ নেন।
আরএ/এসটি/এএসএম
Advertisement