বিশ্বকাপ ক্রিকেটে দুর্ভাগ্য আর নিউজিল্যান্ড যেনো একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। সর্বাধিকবার সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়া দলটি গত দুই বিশ্বকাপের রানার্সআপ। কতটা ভাগ্য বঞ্চিত হলে শিরোপার পাশ ঘেঁষে ঘুরে আসতে হয় তা ভালোভাবেই টের পেয়েছে দলটি।
Advertisement
মাঠের বাইরে থেকে সতীর্থ ক্রিকেটারদের এসব দৃশ্য দেখতে হয়েছে ড্যারিল মিচেলকে। এবারই প্রথম বিশ্বকাপে খেলতে যাওয়া মিচেল আর সে দৃশ্য দেখতে চান না। বরং নিজের সামর্থ্যের সবটুকু ঢেলে দিয়ে সতীর্থদের মুখে হাসি ফোটাতে চান। দেশকে এনে দিতে চান বিশ্বকাপ।
চাইলে তো আর হবে না, সে জন্য মাঠে পারফর্ম করতে হবে। প্রতিপক্ষকে হারাতে হবে। সে প্রস্তুতিটা ভালোভাবেই নিয়েছেন ড্যারিল মিচেল। ডান হাতি টপ অর্ডার ব্যাটার বিশ্বকাপের আগে ব্যাটটাকে দারুণভাবে শান দিয়ে চলেছেন। বলের সঙ্গে ব্যাটের সম্পর্ক উন্নয়নে চেষ্টার কমতি নেই। বিশ্বকাপের ভারতীয় উপমহাদেশের পরিবেশে নিজের জাতটা ভালোভাবেই চিনিয়ে গেছেন।
চলতি বছরের এপ্রিলে পাকিস্তান সফরে ব্যাট হাতে বোলারদের শাসন করে গেছেন। সফরে চার ম্যাচের দুটোতেই সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন তিনি। বিশ্বকাপের ঠিক আগেই এমন পারফরম্যান্স একদিকে মিচেলকে যেমন আত্মবিশ্বাসী করেছে তেমনি নিউজিল্যান্ডকে করেছে উজ্জ্বীবিত।
Advertisement
এক্সারসাইজ এবং স্পোর্টস সায়েন্সে ডিগ্রি অর্জন করা মিচেল একবার ভারত সফর করেছেন। এ বছরের শুরুর ঘটনা এটি। সে সময় অবশ্য তার ব্যাট কথা বলেনি। মাত্র ২৯ ওয়ানডে খেলা ড্যারিল মিচেল সে ব্যর্থতাকে সাফল্যের ভিত্তি করে পাকিস্তান সফরে নিজেকে তুলেছিলে অন্য উচ্চতায়।
সর্বশেষ ১০ ম্যাচে মিচের তিনবারই সেঞ্চুরি করেছেন। একটা হাফ সেঞ্চুরিও রয়েছে। বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের ওপেনাররা যদি একটা ভালো সংগ্রহ এনে দিতে সমর্থ হয় তাহলে ড্যারিল মিচেলরা দলকে যে অনেক দূরে নিয়ে যেতে পারবেন তা বলাই বাহুল্য।
সে সঙ্গে গত দুই আসরের ব্যর্থতা দূরে ঠেলে সাফল্যের হাসি হাসতে নিউজল্যান্ডের সাবেক ও ভবিষ্যত ক্রিকেটাররা তার দিকে তাকিয়ে রয়েছে।
আইএইচএস/
Advertisement