শহর পরিচিতি
Advertisement
ভারতের মুম্বাই শহরটি বোম্বে নামেও পরিচিত। মহারাষ্ট্রের রাজধানী শহর এটি। শহরটি যথেষ্ঠ জনবহুল। বিশ্বের জনবহুল মেট্রোপলিটন শহরের তালিকায় এর স্থান ষষ্ঠ। ভারতের পশ্চিম উপকূলের কনকান অঞ্চলে এর অবস্থান।
মুম্বাই শহরের গুরুত্ব ভারতে অপরিসীম। দেশটির অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক এবং বিনোদনের রাজধানী বলা হয় মুম্বাইকে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে মুম্বাই বিশ্বের শীর্ষ দশ বাণিজ্যিক কেন্দ্রের একটি।
ভারতের অন্য একাধিক শহরের মতো মুম্বাইয়ে ক্রিকেট সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। ভারতের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট (বিসিসিআই) এর প্রাণকেন্দ্র এখানে। এ শহরে ফুটবলও যথেষ্ঠ জনপ্রিয়। বিশ্বকাপ ফুটবলসহ ইউরোপের বিভিন্ন খেলা এ শহরের নাগরিকদের মধ্যে যথেষ্ঠ উত্তেজনা ছড়ায়।
Advertisement
স্টেডিয়াম পরিচিতি ও ইতিহাস
ভারতের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একটি ওয়াংখের স্টেডিয়াম। মুম্বাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (এমসিএ) এটির দেখাশোনা করে। এছাড়া ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের দল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হোম গ্রাউন্ড এটি।
ওয়াংখের স্টেডিয়াম তৈরির পেছনে একটা ঘটনা রয়েছে। ক্রিকেট ক্লাব অব ইন্ডিয়াস (সিসিআই) এবং বোম্বে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএ) এর মধ্যে একবার ক্রিকেট ম্যাচের টিকিট ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়।
১৯৭৩ সালে ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যেকার টেস্ট ম্যাচের পর এ ঘটনা চরম আকার ধারণ করে। তারই ধারাবাহিকতায় এমসিএ এর সেক্রেটারি এবং রাজনীতিবিদ এসকে ওয়াংখেড়ের সহযোগিতায় সাউথ মুম্বাইয়ে একটি স্টেডিয়াম তৈরি করা হয়।
Advertisement
১৯৭৪ সালের পর স্টেডিয়ামটির নাম ওয়াংখেড়ে করা হয়। ১৩ মাসে স্টেডিয়ামটি তৈরি করা হয় এবং ১৯৭৫ সালে ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের শেষ ম্যাচটি এখানে আয়োজন করা হয়। সে সময় থেকে মুম্বাই শহরের প্রধান ক্রিকেট স্টেডিয়াম হিসেবে এটি পরিচিতি লাভ করে।
ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্টে একটা অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলোয়াড় ক্লাইভ লয়েডকে অভিনন্দন জানাতে একজন দর্শক তার দিকে ছুটে গেলে পুলিশ তাকে মারাত্মকভাবে আহত করে।
পরিসংখ্যান
মোট ওয়ানডে ম্যাচ: ২৯আগে ব্যাটিং করে জয়: ১৪পরে ব্যাটিং করে জয়: ১৫প্রথম ইনিংসে গড় রান: ২৩৪দ্বিতীয় ইনিংসে গড় রান: ২০১
সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর: ৪৩৮/৪ (৫০ ওভার), দক্ষিণ আফ্রিকা, প্রতিপক্ষ ভারত, ২০১৫। সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর: ১১১/১০ (৩৬.৩ ওভার), বাংলাদেশ, প্রতিপক্ষ ভারত, ১৯৯৮।সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়: ২৮৪/৪ (৪৯ ওভার), নিউজিল্যান্ড, প্রতিপক্ষ ভারত, ২০১৭।সর্বনিম্ন রান করে জয়: ১২৯/৯ (৫০ ওভার), ওয়েস্ট ইন্ডিজ, প্রতিপক্ষ ভারত, ১৯৯৪।
আইএইচএস/