সময়টা ভালো যাচ্ছে না ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নদের। এক সময় ওয়ানডে ক্রিকেটের দাপুটে দল এবারের বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার যোগ্যতাও অর্জন করতে পারেনি। খেলতে হয়েছে বাছাই পর্বে। তবে বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতিটা তারা ভালোই নিয়েছে।
Advertisement
অন্তত ফলাফলের বিচারে তেমনটাই বলতে হবে। এশিয়া কাপে তারা রানার্সআপ, যদিও ফাইনালে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছিলো। রীতিমত বিধ্বস্ত হতে হয়েছিলো ভারতের কাছে।
এশিয়া কাপে দল ব্যর্থ হলেও কুশাল মেন্ডিস ছিলেন স্ব-মহিমায় উজ্জ্বল। ছয় ইনিংসের তিনটিতেই পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস খেলেছেন। তিন ইনিংসের দুটোকে সেঞ্চুরিতে রূপ দেওয়ার সুযোগও ছিল। তাছাড়া টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনি। বিশ্বকাপে সাফল্যের জন্য শ্রীলঙ্কার তার ব্যাটের দিকেই তাকিয়ে থাকবে এটাই স্বাভাবিক।
স্কুল জীবন থেকে ক্রিকেটের সঙ্গে পরিচয় কুশাল মেন্ডিসের। স্কুল ক্রিকেটে একের পর এক সাফল্য তার সামনের পথ খুলে দেয়। তারই ধারাবাহিকতায় ঢুকে পড়েন অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্ব যুব ক্রিকেট দল।
Advertisement
জীবনে যেমন উত্থান পতন রয়েছে তেমনি ক্রিকেটেও। কুশাল মেন্ডিসও তার ব্যতিক্রম নন। তার জীবনে এসেছে উত্থান পতন। এবারের এশিয়া কাপ ক্রিকেটে মেন্ডিসের ব্যাট দ্যুতি ছড়িয়েছেন।
অথচ ২০১৮ এশিয়া কাপে তিনি দেখেছিলেন মুদ্রার অপর পিঠ। সে সময় বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুই ইনিংসে শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন। বাজে ফর্ম জাতীয় দলে তার অবস্থানকে নড়বড়ে করে দিয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় ইংল্যান্ড সফরের দল থেকে বাদ পড়েছিলেন।
কিন্তু ভাগ্য তাকে আবার এই সফরে টেনে এনেছিল। কুশাল পেরেরার ইনজুরিতে মাঝ পথে সুযোগ পেয়েছিলেন। তবে ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি তখন। সেই শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন, পরের ম্যাচে সংগ্রহ মাত্র ৫রান। তবে পরের ম্যাচে রানের দেখা পেয়েছিলেন তিনি। ৩০ বলে করেছিলেন হাফ সেঞ্চুরি। আর সেখানে বিশাল আকারের ছয়টি ছয়ের মার ছিল।
সে সব ব্যর্থতা ঝেড়ে ফেলে কুশাল মেন্ডিসের ব্যাটে এখন বসন্ত। বিশেষ করে এশিয়া কাপে তো বটেই তার আগে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বেও তার ব্যাটে রান ছিল। এশিয়া কাপের ব্যাটিং ধারাবাহিকতা বিশ্বকাপে টেনে নিতে পারলে কুশাল মেন্ডিস যে আলোকিত হবেন তা বলাই যায়।
Advertisement
আইএইচএস/