খেলাধুলা

ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠার অপেক্ষায় ডেভিড মালান

বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন তারা। ক্রিকেট খেলাটির জনক হলেও সর্বোচ্চ শিরোপার জন্য তাদের ৪৪ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছিলো। গত আসরে ইংলিশদের শিরোপা জয়ের অপেক্ষার অবসান ঘটে। স্বাভাবিকভাবেই চ্যাম্পিয়ন খেতাবটা এবারও তারা ধরে রাখতে চাইবে। এবারের বিশ্বকাপে শিরোপা ধরে রাখার পথে তাদের নির্ভরতার প্রতীক হতে পারেন টপ অর্ডার ব্যাটার ডেভিড মালান।

Advertisement

ছয় বছর আগে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষেক ডেভিড মালানের। তবে ওয়ানডে ক্রিকেটে তার যাত্রা আরো দুই বছর পর, ২০১৯ সালে। খুব বেশি মাঠে নামার সুযোগ পেয়েছেন তা কিন্তু নয়। এ সময়ে প্রতি বছর ইংল্যান্ড কমপক্ষে ১০টি করে ওয়ানডে ম্যাচ খেললেও মালান খেলার সুযোগ পেয়েছেন অর্ধেকেরও কম ম্যাচে।

বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকা মালানের এবারের টুর্নামেন্টে ঝলক দেখানোর সম্ভাবনা বেশি। কারণ, ভারতের মাটিতে আইপিএল খেলে হাতপাকা করা ডেভিড মালান যে প্রতিপক্ষের জন্য আতঙ্কে পরিণত হতে পারে, তা বলাই বাহুল্য।

আবার জাতীয় দলের হয়েও বিশ্বকাপের আগে তেমন ইঙ্গিত দিয়ে চলেছেন। ব্যাট হাতে বোলারদের নিয়মিত শাসন করছেন বাঁ-হাতি এ ব্যাটার। বিশেষ করে বিশ্বকাপের বছরটা তিনি রীতিমতো ঝলমল করছেন। পাঁচ বছরের ক্যারিয়ারে পাঁচটি শতকের দেখা পেয়েছেন তিনি। তার মধ্যে এ বছরই করেছেন তিনটি।

Advertisement

১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২০২৩ সালে যে ৯টা ইনিংসে তিনি ব্যাট করেছেন এক তৃতীয়াংশ অর্থাৎ তিন ম্যাচে তিনি সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। আর পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস খেলার সংখ্যাও তিনটি।

ডেভিড মালান এ ম্যাচগুলো খেলেছেন তিনটি ভিন্ন দেশের বিপক্ষে। নিজ দেশে যেমন খেলেছেন তেমনি প্রতিপক্ষের মাটিতেও। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নিজ দেশে খেললেও দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ দুটো ছিল অ্যাওয়ে।

স্বাভাবিকভাবেই নিজ দেশের সিরিজে তার ব্যাট ঝলমলে হলেও অ্যাওয়ে সিরিজে কম দ্যুতি ছড়াননি। প্রত্যেক সিরিজেই সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। ভারতের মাটিতে মালান দুই ম্যাচ খেলেছেন। একটা হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে তার, সেটা ২০২১ সালের ঘটনা। তবে এবারের মালান অনেক পরিণত। ব্যাটকে করেছেন শাণিত। এখন অপেক্ষা বিশ্বকাপের মঞ্চে নিজেকে মেলা ধরার।

ইংলিশ ক্রিকেটারদের মধ্যে এ পর্যন্ত মাত্র তিনজন ব্যাটারের ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটই সেঞ্চুরি রয়েছে। মালান তাদের একজন। হিদার নাইট ও জস বাটলারের পর তিনি এ কৃতিত্ব দেখান।

Advertisement

আইএইচএস/