চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছর বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কিছুটা কমিয়ে এনেছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটির নতুন এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ অর্থবছর জিডিপি ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে।
Advertisement
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সংস্থাটির ঢাকা অফিসে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক।বাংলাদেশ ও ভুটানে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক বিস্তারিত তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন>>> নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার ৪ কারণ চিহ্নিত করেছে বিশ্বব্যাংক
প্রতিবেদনে বলা হয়, মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলায় মুদ্রা ও রাজস্ব নীতির মাধ্যমে সংস্কার করা, সে সঙ্গে আর্থিক খাতের দুর্বলতাগুলি সংস্কার দেশের প্রবৃদ্ধি এবং দারিদ্র্য হ্রাসের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে। একটি একক বাজার-ভিত্তিক বিনিময় হার আনুষ্ঠানিক চ্যানেলের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহকে আকর্ষণ করতে হবে। এর ফলে অর্থপ্রদানের ভারসাম্য এবং রিজার্ভ জমাতে সহায়তা করবে।
Advertisement
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশে জীবনযাত্রার অবস্থার উন্নতি করেছে। ২০২২ সালে চরম দারিদ্র্য ৫ শতাংশ হয়েছে যা ২০১৬ সালে ছিল ৯ শতাংশ, যা ল্যাটিন আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ান দেশগুলির সঙ্গে তুলনীয়।
আরও পড়ুন>>> নিয়োগ দেবে বিশ্ব ব্যাংক, থাকছে না বয়সসীমা
আঞ্চলিক প্রতিবেদনে দক্ষিণ এশিয়ায় ২০২৪ এবং ২০২৫ সালে গড় প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। প্রবৃদ্ধি কমার জন্য আর্থিক সংকীর্ণতা, রাজস্ব ঘাটতি এবং বৈশ্বিক চাহিদা কমা অন্যতম দায়ী। ভঙ্গুর রাজস্ব আহরণের কারণে নানা ঝুঁকি রয়েছে। ২০২২ সালে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিতে সরকারি ঋণ গড় ছিল জিডিপি’র ৮৬ শতাংশ। ঋণ খেলাপির ঝুঁকি, ঋণ নেওয়ার খরচ বৃদ্ধি এবং ব্যক্তিগত খাতে ঋণ নেওয়ার সংকট তৈরি হয়েছে। চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধীরগতি, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগ তীব্র হওয়ার কারণে অঞ্চলটি প্রভাবিত হবে।
এমওএস/এমআইএইচএস/জেআইএম
Advertisement