একুশে বইমেলা

সার্বিকভাবে বই বিক্রির পরিমাণ কমছে: অঞ্জন হাসান পবন

অঞ্জন হাসান পবন একজন লেখক এবং প্রকাশক। লেখালেখির আগ্রহ থেকেই হয়েছেন প্রকাশক। প্রতিষ্ঠা করেছেন কিংবদন্তী পাবলিকেশন ও দূরবীণ। কাব্যগ্রন্থ, উপন্যাস এবং গল্পগ্রন্থের পাশাপাশি বিভিন্ন গবেষণামূলক বই প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠান দুটি। ফলে মাত্র তিন বছরেই আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন প্রকাশনা জগতে। বইমেলায় আকৃষ্ট করেছেন পাঠকদের। পেয়েছেন রকমারি বেস্টসেলার অ্যাওয়ার্ড।

Advertisement

সম্প্রতি বইমেলা ও বই প্রকাশ সম্পর্কে কথা বলেছেন জাগো নিউজের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন কবি ও কথাশিল্পী সালাহ উদ্দিন মাহমুদ—

জাগো নিউজ: আগামী বইমেলায় আপনার কয়টি বই প্রকাশিত হচ্ছে?অঞ্জন হাসান পবন: আগামী বইমেলা উপলক্ষে লেখক হিসেবে আমার লেখা একটি উপন্যাস ‘লিটল মাস্টার’ প্রকাশ করবে দূরবীণ। ম্রো সম্প্রদায়ের ইতিহাস, সংস্কৃতির আদলে লেখা এটি। এছাড়া প্রকাশক হিসেবে আমাদের দুটি প্রকাশনা সংস্থা কিংবদন্তী পাবলিকেশন এবং দূরবীণ থেকে মোট চব্বিশটি নতুন বই প্রকাশের সম্ভাবনা রয়েছে।

আরও পড়ুন: বই প্রকাশ কি কমে যাবে?

Advertisement

জাগো নিউজ: বাংলা একাডেমি আয়োজিত আগামী বইমেলা কেমন দেখতে চান?অঞ্জন হাসান পবন: ২০২৪ সালের বইমেলাটা আমার কাছে একটা আবেগের জায়গা। আমরা যখন ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি শূন্য হাতে কিংবদন্তী পাবলিকেশন নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলাম। তখন মা (শারমিন আহমেদ) আমার মস্তিষ্কে চার বছরের একটি ছক এঁকে দেন। আমরা একটা টার্গেট নিয়ে নিরলসভাবে চেষ্টা করতে থাকি ভালো কিছু বই প্রকাশ করার। এর ধারাবাহিকতায় বেশ কয়েকটি বেস্টসেলার বই যুক্ত হয় কিংবদন্তী পাবলিকেশনের ঝুড়িতে। চার বছরের এই প্রজেক্টের নাম দেওয়া হয় ‘ভিশন টুয়েন্টিফোর’। আমরা আমাদের ভিশন সাকসেস হওয়ার একদম কাছাকাছি। আমি চাই ২০২৪ সালের বইমেলায় কিংবদন্তীর স্টলের সামনে পাঠকদের ভিড় আরও বাড়ুক। জমে উঠুক বইমেলা। পাঠকের আগ্রহ বাড়ুক বইমেলা ঘিরে।

জাগো নিউজ: আপনার দেখা বিগত বইমেলায় কোনো অসঙ্গতি চোখে পড়েছে?অঞ্জন হাসান পবন: না। আমার চোখে তেমন কোনো অসঙ্গতি পড়েনি। গোছানো একটি বইমেলা আমরা পেয়েছি বিগত বছরগুলোতে। স্টল বিন্যাসও ভালো ছিল। পাঠকের চলাচলের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা ছিল।

জাগো নিউজ: বইমেলায় বইয়ের বিক্রি বাড়ছে নাকি কমছে? অঞ্জন হাসান পবন: কিংবদন্তী পাবলিকেশনের বইয়ের বিক্রি বেড়েছে। বাকিদের হিসাব বলতে পারবো না। তবে সার্বিকভাবে বিবেচনা করলে বই বিক্রির পরিমাণ কমছে। মানুষ ই-বুক বা পিডিএফের দিকে ঝুঁকছে বলে মনে হচ্ছে। তাছাড়া বইপড়ার হারও তুলনামূলক কমেছে। তাই বইপড়ার অভ্যাস বাড়ানোর জন্য উদ্যোগ নিতে হবে।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশে অনুবাদের পারিশ্রমিক অনেক কম: শেহজাদ আমান

Advertisement

জাগো নিউজ: বইয়ের প্রচারণাকে কোন দৃষ্টিতে দেখেন?অঞ্জন হাসান পবন: বইয়ের প্রচারণাকে সর্বাধিক গুরুত্বের সঙ্গে দেখি। একটা ভালো বইয়ের খবর পাঠকদের কাছে পৌঁছানো উচিত। কিংবদন্তী সব সময় বইয়ের প্রচার করতে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। আমাদের টিম সারাবছরই বিভিন্ন মাধ্যমে নতুন-পুরাতন বইয়ের প্রচার করে যাচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়া কেন্দ্রীক গ্রুপ এবং পেজের মাধ্যমে বইয়ের প্রচার বাড়ছে। বইয়ের প্রচারের ক্ষেত্রে আমরা সোশ্যাল মিডিয়াকে গুরুত্ব দিয়ে থাকি।

জাগো নিউজ: বইমেলার পাঠকের জন্য কী পরামর্শ দেবেন?অঞ্জন হাসান পবন: প্রতি বছর বইমেলা উপলক্ষে হাজার হাজার নতুন বই প্রকাশিত হয়। পাশাপাশি থাকে অগণিত পুরোনো বই। ঘুরে ঘুরে সময় নিয়ে মানসম্মত বইগুলো সংগ্রহ করে পড়ার অভিজ্ঞতা আশা করি ভালোই হবে। একটি মানসম্মত বই স্টলের নিচে এক কোণেও পড়ে থাকতে পারে। তাই পাঠক বই সংগ্রহ করবেন বইয়ের কনটেন্ট দেখে। তাহলে ভালো মানের বই তারা খুঁজে পাবেন।

এসইউ/এএসএম