অনেকেরই মাড়ির শেষ দাঁতগুলো গজায় না। এর নানা রকম কারণ ও ব্যাখ্যা আছে। এর মধ্যে বেশ মজার একটি থিওরি কী জানেন? আমাদের পূর্ব পুরুষরা বিভিন্ন পশুর কাঁচা বা অর্ধসেদ্ধ মাংস খেতেন। এমনকি শক্ত ফলফলাদি, ফাইব্রাস সবজি রান্না না করেই খেতেন।
Advertisement
শক্ত এসব খাবার খেতে অতিরিক্ত শক্তির দরকার হতো। তাই তাদের চোয়াল-দাঁত বড় ও মজবুত হতো। যেহেতু আদিম যুগে পূর্ণবয়ষ্ক মানুষের খাদ্য তালিকায় শক্ত ও আঁশযুক্ত খাবারের পরিমাণ বেশি ছিল, তাই খাবার পেষণে সাহায্যের জন্যই আক্কেল দাঁতের আবির্ভাব হয়েছিলো ধারণা করেন বিজ্ঞানীরা।
আরও পড়ুন: দাঁত দিয়ে নখ কাটলে কী হয়? বন্ধের ৫ উপায়
খাবার চিবানো ও পেষণে আক্কেল দাঁতের কার্যকারিতা অতুলনীয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের খাদ্যভ্যাস এখন পরিবর্তন হয়েছে। আমরা এখন মাংস রান্না করে খাচ্ছি। অন্য খাদ্য সুবিধাজনকভাবে প্রসেসিং করে খাই।
Advertisement
এখন খাদ্যতালিকা থেকে বাদ পড়েছে কাঁচা মাংসের মতো অতিরিক্ত শক্ত ও আঁশযুক্ত খাবার। তাই আক্কেল দাঁতের প্রয়োজনীয়তা কমে এসেছে এখন। দাঁত গজানোর পিছনে দায়ী হরমোনে এসেছে আমূল পরিবর্তন।
তাই অনেকেরই এখন সঠিক সময়ে বা সঠিকভাবে আক্কেল দাঁত গজায় না। সময়ের তালে নরম এসব খাদ্য চিবাতে চোয়াল ও দাঁতের ওপর গুরুত্ব কমেছে বহুগুণ।
আরও পড়ুন: দাঁত তোলার পর কী করতে হবে?
এজন্য আস্তে আস্তে চোয়ালের আকার ছোট হয়ে আসে। এতে শেষ অর্থাৎ থার্ড মোলার দাঁতটি ওঠার জায়গা পায় না! ফলে এটি হাড়ের মাঝেই থেকে যায় (ঘটনাটিকে প্যাথোলজিতে ডিসইউজ এট্রোফি বলে)।
Advertisement
মুখগহ্বরে দাঁত না উঠে চোয়ালে থেকে গেলে তাকে ইমপ্যাক্টেট টুথ বলে। এই দাঁতগুলো মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। এজন্য নির্দিষ্ট সময়ে সব দাঁত মুখগহ্বরে না উঠলে অবশ্যই একজন ডেন্টিস্টকে দেখাতে হবে।
জেএমএস/জিকেএস