পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার আর-আতাইকুলা ইউনিয়নের গাঙ্গহাটি গ্রামের বাসিন্দা নূরজাহান খাতুনের (৭৬) বন্ধ হয়ে যাওয়া বিধবা ভাতা চালুর ব্যবস্থা করেছেন নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ হোসেন। শুধু তাই নয় তিনি বিগত বছরগুলোর বকেয়া ভাতাও পাবেন। একই সঙ্গে তাকে কিছু আর্থিক সহায়তাও করা হয়েছে।
Advertisement
সোমবার (২ অক্টোবর) সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ হোসেন জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, রোববার নূরজাহান খাতুনকে নিয়ে জাগোনিউজ২৪.কম-এর প্রতিবেদনটি দেখার পরই ওই বৃদ্ধার বাড়ির লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করি। সোমবার তাকে সাঁথিয়া উপজেলা সদরে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হয়। এরপর বৃদ্ধার পাশে থেকে সমাজসেবা কর্মকর্তাকে তাৎক্ষণিক বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলি। মূলত ওই বৃদ্ধার ভাতার কার্ডটি ডিজিটালাইজেশন না করায় মোবাইলে ভাতা দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। সোমবারই সেটি আপডেট করা হয়েছে। তিনি চলতি মাস বা আগামী মাস থেকেই ভাতা পাবেন। একই সঙ্গে বকেয়া মাসগুলোর ভাতাও পাবেন।
আরও পড়ুন: টাকার অভাবে বন্ধ শিশু আয়শার চিকিৎসা, সহযোগিতা চান বাবা-মা
Advertisement
ইউএনও আরও বলেন, উপজেলা প্রশাসন নূরজাহান খাতুনের পুরো পরিবারের খোঁজখবর নিয়েছে। বৃদ্ধার প্রতিবন্ধী মেয়েটির একটি কার্ডের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। এছাড়া তার ছেলের বউ যেন হাঁস- মুরগী পালন করে স্বাবলম্বী হতে পারেন সেজন্য তাকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দেওয়া হচ্ছে। মূলধনের জন্য তাকে ব্যাংক ঋণ পেতেও সহযোগিতা করা হবে।
বৃদ্ধার ভাতার কার্ড বন্ধ হওয়ার বিষয়ে ইউএনও মাসুদ হোসেন বলেন, কার্ড বন্ধ হওয়ার বিষয়টি বৃদ্ধার পরিবারের লোকজন উপজেলা প্রশাসনের কাছে জানাননি। বিষয়টি আমার নজরে আনা হলে অনেক আগেই সমাধান হয়ে যেত।
বৃদ্ধা নূরজাহান খাতুন ভাতা চালু হওয়ার কথা শুনে বলেন,‘আমি খুব খুশি। আমি সবার জন্য দোয়া করি।’
উল্লেখ্য, ১ অক্টোবর বৃদ্ধা নূরজাহান খাতুনকে নিয়ে জাগোনিউজ২৪.কম-এ ‘খালি নাম ল্যাহে কিচু দেয় না’ শীর্ষক একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপরই বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের নজরে এলে সঙ্গে সঙ্গে নেওয়া হয় কার্যকরী পদক্ষেপ।
Advertisement
আমিন ইসলাম জুয়েল/জেএস/এএসএম