ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দিনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৯ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
Advertisement
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। এ দিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করেননি। এ জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলম প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এই দিন ধার্য করেন।
আরও পড়ুন> তলপেটে লাথি মারলে রাস্তায় পড়ে যান হিরো আলম
গত ১৮ জুলাই দুপুরে রাজধানীর বনানী থানায় মামলা করেন হিরো আলমের ব্যক্তিগত সহকারী সুজন রহমান শুভ। মামলায় আসামি করা হয় অজ্ঞাত পরিচয়ের ১৫ থেকে ২০ জনকে।
Advertisement
এজাহারে অভিযোগ আনা হয়, ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হলে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আশরাফুল হোসেন আলম এবং তার ব্যক্তিগত সহকারী পরান সরকারসহ প্রতিনিধি রাজীব খন্দকার, মো. রনি, মো. আল-আমিনসহ অনেকে বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করতে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় হিরো আলম এবং তার প্রতিনিধিরা বিকেল সাড়ে ৩টায় বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে পরিদর্শনে যান। প্রার্থী হিরো আলমসহ আমরা পাঁচ-ছয়জন বনানী বিদ্যানিকেতন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার সময় অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জন বেআইনিভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে তাদের গতিরোধ করে বিভিন্ন ধরনের গালিগালাজ করতে থাকেন। একপর্যায়ে বিবাদীরা হত্যার উদ্দেশ্যে প্রার্থী হিরো আলমকে আক্রমণ করে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুসি মারতে থাকেন। মারধরের একপর্যায়ে তাদের মধ্যে থেকে অজ্ঞাতনামা একজন হত্যার উদ্দেশ্যে দুই হাতে হিরো আলমের কলার চেপে ধরে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করেন এবং অন্য একজন তার তলপেটে লাথি মারলে হিরো আলম রাস্তায় পড়ে যান।
আরও পড়ুন>হিরো আলমের ওপর হামলা: অজ্ঞাত ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
এজাহারে আরও বলা হয় তখন অন্য বিবাদীরা হিরো আলমকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুসি ও লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করেন এবং টানাহেঁচড়া করেন। ওই সময়ে সহকারী পরান সরকার মিলে হিরো আলমকে হামলাকারীদের হাত থেকে রক্ষার জন্য এগিয়ে গেলে তারা মারধর করে জখম করেন। পরে কেন্দ্রে ডিউটিরত পুলিশ এবং একতারা প্রতীকের সমর্থনকারীদের সহায়তায় হিরো আলমসহ তারা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
জেএ/এসএনআর/জিকেএস
Advertisement