স্বাস্থ্য

জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধে টিকাদান শুরু আজ

নারীদের ক্যানসারজনিত রোগের মধ্যে অন্যতম জরায়ুমুখের ক্যানসার। একে বলা হয় নারীদেহের ‘নীরবঘাতক’। কারণ, এতে আক্রান্ত অনেক নারীই আগেভাগে কোনো লক্ষণ বুঝতে পারেন না। আবার ভিন্ন লক্ষণ দেখা দিলেও অনেক সময় গুরুত্ব দেন না। প্রতিবছর দেশে প্রায় পাঁচ হাজার নারীর মৃত্যু হয় জরায়ুমুখ ক্যানসারে। বছরে এ রোগে আক্রান্ত হয় প্রায় আট হাজার নারী।

Advertisement

নারীদের জরায়ুমুখের ক্যানসার প্রতিরোধে সরকার সারাদেশে এক কোটি ১১ লাখ কিশোরীকে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসের টিকা দিচ্ছে। আজ সোমবার (২ অক্টোবর) এ টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধন হবে। চলতি অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি সারাদেশের স্কুলে এ কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হবে।

সোমবার (২ অক্টোবর) রাজধানীর জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে (নিপসম) এ টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) আওতায় ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী; অর্থাৎ পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত মেয়ে শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে এক ডোজ করে টিকা পাবে। বেলা ১১টায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ কর্মসূচি উদ্বোধন করবেন।

আজ প্রথম দিন পরীক্ষামূলকভাবে টিকাদান শুরু হলেও অক্টোবরের মাঝামাঝি সারাদেশে ব্যাপকভাবে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

Advertisement

কম বয়সে টিকার কার্যকারিতা বেশি হওয়ায় কিশোরীদের টিকা দেওয়ার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যানসার নির্ণয় ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ডা. আশরাফুন্নেসা।

তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ধীরে ধীরে সবাইকে এ টিকার আওতায় নিয়ে আসতে হবে। একেবারে নির্মূল করতে হলে পুরুষদেরও এ টিকা দেওয়া হতে পারে।

তিনি জানান, হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসের ভ্যাকসিন শুধু জরায়ুমুখ ক্যানসার নয়, আরও বেশকিছু ক্ষেত্রে কার্যকর হতে পারে। যেমন- মুখের ক্যানসার, ভ্যাজাইনাল ক্যানসার, ওরোপেরেন্সিয়াল ক্যানসার , এ্যানাল ক্যানসারও প্রতিরোধ করতে পারে।

তবে নারীদের অবশ্যই ৩০ বছর বয়সের পর স্ক্রিনিং করা প্রয়োজন বলে জানিয়ে তিনি বলেন, সাধারণত স্ক্রিনিং করা হলে আক্রান্ত রোগীকে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করে তোলা সম্ভব হয়।

Advertisement

এএএম/এমকেআর