ভোটে গেলে আওয়ামী লীগ ১৪ হাজার ভোট পাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
Advertisement
তিনি বলেছেন, বড় বড় বিল্ডিং, এক্সপ্রেসওয়ে, টানেল, মেট্রোরেল এগুলো দেখে জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিলে দিতে পারে। জনগণ ভোট দিলে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসবে, অসুবিধা কী! আওয়ামী লীগ বলে দেশে উন্নতি হয়েছে। হ্যাঁ, উন্নতি হয়েছে। গত ১৪ বছরে বাংলাদেশে প্রায় ১৪ হাজার লোক কোটিপতি হয়েছে। এটি ব্যাংকের হিসাব। বিপরীতে এসময়ে সাড়ে তিন কোটি মানুষ অতিদরিদ্র হয়েছে। অর্থাৎ ভোটে গেলে আওয়ামী লীগ ওই ১৪ হাজার লোকের ভোটই পাবে।
তিনি বলেন, এ কারণেই সরকার সুষ্ঠু ভোট দিতে রাজি না। কিন্তু দেশে ভোট দিতে হবে। এ দেশের মালিক জনগণ। আর জনগণ ভোট দিতে চায়। জনগণ যাকে খুশি ভোট দেবে।
ময়মনসিংহ টু কিশোরগঞ্জে বিএনপির রোডমার্চের সমাপনী সমাবেশে রোববার (১ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
Advertisement
নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে আমরা অংশ নিইনি। সেবার ১৫৩ জন বিনাভোটে নির্বাচিত হয়েছিল। কেউ ভোট দিতে যায় নাই। ২০১৮ সালের নির্বাচনেও মানুষ ভোট দিতে পারেনি। কারণ, দিনের ভোট আগের রাতেই হয়ে গিয়েছিল। কাজেই ভোট ছাড়া যারা এমপি হয়েছে তাদের সেই সংসদ ভেঙে দিতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। এই অবৈধ সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে।
রোডমার্চ শেষে সমাপনী সমাবেশে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরিফুল আলমে সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
আরও বক্তব্য রাখেন, যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (ময়মনসিংহ বিভাগ) সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ারেছ আলী মামুন, নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ মুজিবুর রহমান ইকবাল, লায়লা বেগম, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ।
Advertisement
সমাবেশ সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম ও জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল।
এসকে রাসেল/এমকেআর