আইন-আদালত

চবি টেন্ডার দুর্নীতির মামলা: জামিন চাইলেন জিকে শামীম

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে নতুন কলা ও মানববিদ্যা অনুষদ ভবনের নির্মাণ (২য় পর্যায়) কাজ নেওয়ার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীম হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেছেন।

Advertisement

বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দ ও বিচারপতি মো.মাহমুদ হাসান তালুকদারের বেঞ্চে আবেদনটি শুনানির জন্য রয়েছে। রোববার (১অক্টোবর) এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুদকের আইনজীবী মো.খুরশীদ আলম খান।

২০২০ সালের ২২ নভেম্বর জি কে শামীমসহ দুজনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছে দুদক সমন্বিত কার্যালয় চট্টগ্রাম জেলা-১ এর সহকারী পরিচালক ফখরুল ইসলাম।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে দি বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্স-জিকেবিএলকে ৭৫ কোটি এক লাখ ২৯৫ টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় পর্যায়ে করা ও মানববিদ্যা অনুষদ ভবন নির্মাণ কাজের কার্যাদেশ দেওয়া হয়। কিন্তু দরপত্রের নথি জালিয়াতি করা হয়েছে। এ মামলায় ২০২১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

Advertisement

ক্যাসিনোবিরোধী অভিযোগের মধ্যে ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর গুলশানের নিকেতনে শামীমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও অভিযান চালায় র্যাব। এসময় ওই ভবন থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা, এফডিআর, আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ জব্দ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। অভিযানের সময় জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাদের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা করা হয়। এর মধ্যে দুই মামলায় তার সাজা হয়েছে।

চলতি বছরের ১৭ জুলাই মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় জিকে শামীমকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম আদালত। বাকি সাত আসামিকে (জিকে শামীমের দেহরক্ষী) ৪ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।

এছাড়া তাদের সম্মিলিতভাবে ৩ কোটি ৮৩ লাখ ৩৫ হাজার ৮১৪ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। রায়ে আদালত তার জব্দকৃত সমস্ত ব্যাংক হিসাব ও অস্থাবর সম্পত্তি অবমুক্ত করার আদেশ দেন।

এফএইচ/এমআইএইচএস/জিকেএস

Advertisement