আগামী ৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য এইচএসসি’র প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে খুলনার কেন্দ্রগুলোতে পরীক্ষার আধা ঘণ্টা আগে ট্রেজারি থেকে প্রশ্নপত্র পৌঁছানো হবে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. মনিরুজ্জামান।জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, পরীক্ষা কেন্দ্রসমূহের গোপনীয় কাগজপত্র নিরাপদ হেফাজতের জন্য ট্রেজারিতে রাখা হবে। পরীক্ষার দিন সঠিকভাবে কেন্দ্রে প্রশ্নপত্র বিতরণসহ সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সশস্ত্র পুলিশ পাহারায় ঢাকা থেকে প্রশ্নপত্র আনা হবে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. মনিরুজ্জামান জানান, পরীক্ষার আধা ঘণ্টা আগে ট্রেজারি থেকে প্রশ্নপত্র কেন্দ্রে পৌঁছাবে। প্রত্যেকটি কেন্দ্রের জন্য একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। মোবাইল বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে এমন তথ্য পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেয়া হবে। খুলনার সরকারি পাইওনিয়ার মহিলা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ প্রফেসর জাহানারা জানান, ম্যাজিস্ট্রেট সরাসরি প্রশ্নপত্র তার দফতরেই বুঝে দেবেন। পরীক্ষা গ্রহণের আগ থেকে বহিরাগতদের কেন্দ্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পরীক্ষা শুরু হওয়ার ৫ মিনিট আগে অধ্যক্ষের কার্যালয় থেকে হলগুলোতে প্রশ্নপত্র পাঠানো হবে। কেএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (নগর বিশেষ শাখা) শেখ মনিরুজ্জামান মিঠু জানান, প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধসহ সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধে মহানগরী এলাকায় পুলিশের ১১০ জন মাঠে কর্মরত আছে। তার মধ্যে ইন্সপেক্টর, সাব-ইন্সপেক্টর এসব পরিস্থিতি মনিটরিং করছেন। প্রত্যেক থানা এলাকায় ৮-১০ জন পুলিশ সদস্য গোয়েন্দাগিরি করছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় ২১ হাজার ৮৩০ জন, এইচএসসি (বিএম) পরীক্ষায় ৪ হাজার ৯০০ জন, আলীম পরীক্ষায় ১ হাজার ৯৯ জন এবং ডিপ্লোমা-ইন-বিজনেস স্টাডিজ পরীক্ষায় ৫২ জন অংশ নিচ্ছেন।পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য জেলা প্রশাসনের তত্বাধায়নে ভিজিলেন্স টিম গঠন করা হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রের ৪শ’ গজের মধ্যে ফটোস্ট্যাট মেশিন বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রশ্নপত্র ব্যাংকে না রেখে থানা ও পুলিশ ফাঁড়ির নিরাপদ হেফাজতে রাখতে বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে।আলমগীর হান্নান/এসএস/পিআর
Advertisement