পাবনায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত আটজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে।
Advertisement
শনিবার (৩০সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে পাবনা পৌর সদরের বাস টার্মিনাল সংলগ্ন মাসুম বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আধিপত্য বিস্তার ও অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী ও আরাফাত গ্রুপের মধ্যে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধরা হলেন- সজীব (৩২), মিলন (৩৪), রঞ্জু (৩৫), রাফি (২৫), রিহাব (২৫), রাকিবুল ওরফে শান্ত (২৫), আরাফাত (২২) ও আকাশ (২৩)।
Advertisement
আহত সাতজনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহত একজনকে চিকিৎসকরা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।
জানা গেছে, সম্প্রতি অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান এবং পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইফতে আরাফাতের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে দুই পক্ষের মধ্যে চাপা উত্তেজনা চলছিল। এরই জেরে শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সংঘর্ষ বাঁধে। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। পরে গুলিবিদ্ধদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পাবনা জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, গুলিবিদ্ধদের হাসপাতালে নিয়ে আসার সময় তিনি সেখানে ছিলেন। আহতদের মধ্যে সজীবের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে রাতেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আটজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। তবে পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে।
Advertisement
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মাসুদ আলম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তবে কী কারণে, কারা গুলি চালিয়েছে তা এখনো পরিষ্কার নয়। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে এবং এখন পরিবেশ শান্ত আছে।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজ রোববার সকালে বলেন, আরাফাতের সমর্থকরা মেহেদীর সমর্থকদের ওপর হামলা করেছে। তাদের মধ্যে আগে থেকেই দ্বন্দ্ব চলছিল। বারবার সমাধান করে দেওয়ার পরেও তারা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে।
এদিকে, বিবাদমান গ্রুপের দুই নেতার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি। তাদের দুজনেরই মোবাইলফোন বন্ধ রয়েছে।
আমিন ইসলাম জুয়েল/এমআরআর/এমএস