আন্তর্জাতিক

শেষ মুহূর্তের চুক্তিতে শাটডাউন এড়ালো যুক্তরাষ্ট্রের সরকার

শেষ মুহূর্তে এসে সরকার অচল (শাটডাউন) হওয়া এড়ালো যুক্তরাষ্ট্র। সরকারে স্বল্পমেয়াদী অর্থায়নের বিষয়ে হাউজ অব কমনস এবং সিনেটের মধ্যে সমঝোতা হওয়ায় বড় সংকট থেকে বেঁচে গেছে বাইডেন প্রশাসন। এই চুত্তি না হলে যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ সরকারি কর্মচারীকে বিনাবেতনে ছুটিতে পাঠাতে হতো, বন্ধ হয়ে যেতো সরকারের গুরত্বপূর্ণ বিভিন্ন সেবা।

Advertisement

বিবিসি জানিয়েছে, শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) মার্কিন সরকারকে আগামী নভেম্বরের মধ্যভাগ পর্যন্ত অর্থায়ন সংক্রান্ত একটি বিল (স্টপগ্যাপ ফান্ডিং বিল) ৮৮-৯ ভোটে পাস হয়েছে সিনেটে। তবে এতে ইউক্রেনের জন্য নতুন কোনো সহায়তার পরিকল্পনা রাখা হয়নি।

আরও পড়ুন>> ফের অচলের শঙ্কায় মার্কিন সরকার, কী প্রভাব পড়বে অর্থনীতিতে

এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমনসেও দ্বিপক্ষীয় সমর্থনে পাস হয়ে আসে বিলটি। সিনেটে পাস হওয়ার পর এবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের অনুমোদন পেলেই আইনে পরিণত হবে সেটি। নিজ দলের প্রস্তাব হওয়ায় জো বাইডেন এতে আপত্তি করবেন না বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে।

Advertisement

৪৫ দিনের এই অস্থায়ী অর্থায়ন পরিকল্পনাটি উত্থাপন করেছিলেন মার্কিন হাউজ স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি। এটি পাস হওয়ায় আপাতত স্বস্তি পেলো ডেমোক্র্যাট সরকার।

আরও পড়ুন>> নিকারাগুয়ার আরও ১০০ কর্মকর্তার ওপর মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা

এর আগে, নতুন অর্থায়ন বিল নিয়ে একদল কট্টর রিপাবলিকান সদস্য আপত্তি তোলায় আংশিক অচল হওয়ার ঝুঁকিতে পড়েছিল বাইডেন প্রশাসন।

চুক্তি না হলে রোববার (১ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা থেকে অচল হয়ে পড়তো মার্কিন সরকারের একটি বড় অংশ। কিন্তু শনিবার এক নাটকীয় পরিবর্তনের পর হাউজ রিপাবলিকানরা অস্থায়ী অর্থায়ন বিল পাসে সম্মতি দেন।

Advertisement

যদিও রিপাবলিকানদের চেয়ে এই প্রস্তাবে ডেমোক্র্যাটদের সমর্থন বেশি ছিল। অন্তত ৯০ জন রিপাবলিকান সদস্য এর বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন।

আরও পড়ুন>> হঠাৎ বন্যার কবলে নিউইয়র্ক, জরুরি অবস্থা ঘোষণা

মূলত কট্টর ডানপন্থি রিপাবলিকানরা সরকারের ব্যয় কমানোর দাবিতে অনড় থাকায় বিল পাস নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত আইনপ্রণেতাদের একটি বড় অংশ সরকার অচল হওয়া এড়ানোর পক্ষে ভোট দেন।

এতে অবশ্য একটি বড় শর্ত ছিল তাদের- ইউক্রেনের পেছনে আর কোনো অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করা যাবে না। পাস হওয়া বিলটিতে সেই দাবি মেনে নেওয়ার চিত্রই ফুটে উঠেছে।

কেএএ/