চতুর্থ নয়, পঞ্চম শিল্পবিপ্লবও বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের তরুণ-যুবকদের পক্ষে ছুঁয়ে দেওয়া সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তি ও মানবসম্পদের চাহিদা ব্যাপক হারে বাড়ছে। দ্রুত গতি ও নির্ভুল হওয়ার জন্য বাংলাদেশেও এখন প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েছে। যেভাবে আমরা কাজ করছি, তাতে চতুর্থ নয়, পঞ্চম শিল্পবিপ্লবও আমাদের পক্ষে ছুঁয়ে দেওয়া সম্ভব।’
Advertisement
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দুই দিনব্যাপী ‘ষষ্ঠ বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াড’ জাতীয় পর্বের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এস কথা বলেন।
দীপু মনি বলেন, আমাদের তরুণ-যুবকদের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। এ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হবে। স্কুল পর্যায়ে প্রোগ্রামিং-রোবটিংয়ে যদি হাতেখড়ি দেওয়া হয়, তাহলে শিশুদের চিন্তাশক্তি বিকশিত হবে। তারা যৌক্তিকভিত্তি নিয়ে একজন মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে। সেটাই আমাদের জন্য খুব বেশি দরকার।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বে শিক্ষা ক্ষেত্রের অনন্য উদাহরণগুলো সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সারাদেশে ৩০০ স্কুলকে স্মার্ট স্কুল হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে শেখ রাসেল স্কুল অব ফিউচার প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নানা ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হচ্ছে। তার মধ্যে সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা অন্যতম।
Advertisement
নতুন শিক্ষাক্রম সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘সৃজনশীল পদ্ধতি চালু করে মুখস্ত বিদ্যা বাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম আমরা। সেটা খুব ফলপ্রসূ হয়নি। এরপর মনে হয়েছিল যে, অনেক জায়গায় পরিবর্তন আনা দরকার। শুধু পরিবর্তন বা সংস্কার নয়, একটা রূপান্তর প্রয়োজন। সেই লক্ষ্যে ২০১৭-১৮ সালের গবেষণার ফল এবং বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট মিলিয়ে নতুন শিক্ষাক্রম করা হয়। ২০১৯-২০২১ সাল পর্যন্ত সময় নিয়ে আমরা সেই কাঠামো তৈরি করেছি।’
পরে শিক্ষামন্ত্রী রোবট অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। এ প্রতিযোগিতায় পাঁচটি ক্যাটাগরিতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ পদক দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব সামসুল আরেফিন ও আইসিটি বিভাগের মহাপরিচালক মোস্তফা কামাল প্রমুখ।
এএএইচ/এমআইএইচএস/জেআইএম
Advertisement