ইউক্রেনের দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে এক রাতেই ৪০টির মতো ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এর মধ্যে ৩০টির বেশি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে বলে দাবি করেছে কিয়েভ। রাশিয়া যেসব ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে সেগুলো ইরানের তৈরি শাহেদ ড্রোন বলে জানা গেছে। শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ইউক্রেনের আঞ্চলিক ও সামরিক কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
Advertisement
সাউথ মিলিটারি কমান্ড জানিয়েছে, ভিনিতসিয়া অঞ্চলে ২০টি ড্রোন এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় ওডেসা এবং মিকোলাইভ অঞ্চলে ১০টির বেশি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
সাউদার্ন কমান্ডের মুখপাত্র নাতালিয়া হুমেনিউক ইউক্রেনের একটি টেলিভিশনকে বলেন, দানুব নদীসহ বন্দরের বিভিন্ন স্থাপনায় ক্রমাগত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। ইউক্রেনের অন্যান্য অঞ্চলেও হামলার চেষ্টা করা হচ্ছে। দেশের অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতেই এসব হামলা চালানো হচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে।
Advertisement
ওডেসা বন্দরে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানির কাজে নিয়োজিত বিভিন্ন স্থাপণা ও ভবনে গত জুলাই মাস থেকেই বিমান হামলা আরও বাড়িয়েছে রাশিয়া। সে সময় জাতিসংঘের হস্তক্ষেপে একটি শস্য চুক্তি প্রত্যাহার করে রাশিয়া। ওই চুক্তির আওতায় কৃষ্ণ সাগরে নিরাপদে ইউক্রেনীয় শস্য রপ্তানি করা সম্ভব হতো। কিন্তু রাশিয়া ওই চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ানোয় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।
ভিনিৎসিয়ার আঞ্চলিক গভর্নর সেরহি বোরজোভ বলেন, ওই অঞ্চলের একটি ভবনে রাশিয়ার ড্রোনের আঘাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। তবে সেখানে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সে বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি। দক্ষিণাঞ্চলীয় খেরসনের আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাশিয়ার কামানের গোলার আঘাতে তিনজন আহত হয়েছে।
এদিকে ইউক্রেনকে উন্নত প্রযুক্তির দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর ফলে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে ইউক্রেনের অবস্থান আরও শক্তিশালী হবে। মার্কিন গণমাধ্যমের খবরে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
আরও পড়ুন: রুশ কমান্ডারকে হত্যার দাবি, মিথ্যা বলেছে ইউক্রেন?
Advertisement
এ বিষয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত বেশ কয়েকজন মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, ইউক্রেনকে এটিএসিএমএস (আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম) ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়া হবে। দূরপাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্র ১৯০ মাইলের (৩০০ কিলোমিটার) মধ্যে হামলা চালাতে সক্ষম।
মস্কোর দখলে থাকা ক্রিমিয়ায় সাম্প্রতিক সময়ে হামলা বাড়িয়েছে ইউক্রেন। তবে এসব হামলা মোকাবিলায় মস্কোও অতিরিক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছিল। এটি দুপক্ষের জন্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। ওই অঞ্চল থেকেই গত ১৯ মাস ধরেই ইউক্রেনের ওপর বিভিন্ন সময়ে বিমান হামলা চালিয়ে আসছে রাশিয়া।
টিটিএন