লাইফস্টাইল

বউ-শাশুড়ির সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত?

মামুন রাফী

Advertisement

যৌথ পরিবারে বউ-শাশুড়ির দ্বন্দ্বটা থেকেই যায়। একটি মেয়ে এসে নিজের ছেলেকে পর করে দিচ্ছে—এমনটি ভাবেন অনেক শাশুড়ি। বেশিরভাগ শাশুড়ি বউকে প্রতিপক্ষ ভাবেন। তিনি হয়তো ভুলে যান, কোনো একদিন তিনিও বউ ছিলেন। তিনি তার শাশুড়ির জায়গা দখল করে নিজেকে প্রকাশ করতে চান।

যে মেয়ে তার ঘরে বউ হয়ে এসেছে; পুরোনো পরিবেশ ফেলে নতুন পরিবারে নিজেকে খাপ খাওয়াতে ব্যাকুল, তাকে তিনি অন্যভাবে দেখছেন। অথচ বউ এবং শাশুড়িই দিনের বেশিরভাগ সময় একসঙ্গে কাটান। তাই তাদের মধ্যেই ভালো বোঝাপড়া থাকা দরকার। যে কোনো সমস্যায় একজন অন্যজনকে সাহায্য করবেন।

শাশুড়িকে মনে রাখতে হবে, বউ তার সমবয়সী বা প্রতিপক্ষ নয়। আর বউকে শাশুড়ির সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। দুজনকেই ছাড় দিতে হবে। দুজনের ভালো-মন্দ দুজনকে বুঝতে হবে। শাশুড়ির ওষুধপত্র থেকে শুরু করে তাকে আনন্দে রাখার জন্য বউকে পাশে থাকতে হবে।

Advertisement

আরও পড়ুন: সঙ্গীর চোখে চোখ রেখে কথা বললে যা হয়

দুজনের করণীয়বউ তার শাশুড়িকে মা এবং শাশুড়ি তার বউকে মেয়ে ভেবে ত্রুটিগুলো ছাড় দিলে সম্পর্কটা মধুর হবে। দুজন গল্প করে, টিভি দেখে সময় কাটাতে পারেন। জরুরি ব্যাপার হলো, ঘরের অভ্যন্তরীণ বিষয় পাড়া-পড়শি বা আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে আলোচনা করা ঠিক নয়। কারো পরামর্শ না নিলেই বেশিরভাগ পরিবার ভালো থাকতে পারবে।

বাবার বাড়ি ছেড়ে যে মেয়েটি স্বামীর সংসারে আসে বাকি জীবন কাটানোর জন্য। তার প্রতি আন্তরিক হওয়া খুবই জরুরি। অন্যদিকে বউকেও মনে রাখতে হবে, শাশুড়িকে অবহেলা বা বিদ্রুপ করলে সম্পর্কের তিক্ততা বাড়বে। সেই সঙ্গে তার প্রভাব পরিবারের ওপর পড়বে।

আরও পড়ুন: মানসিক চাপ থেকে কীভাবে মুক্তি পাবেন?

Advertisement

বউয়ের করণীয়১. শাশুড়ির মতামতকে প্রাধান্য দিন। ২. কখনোই দুর্ব্যবহার করবেন না। ৩. কোনো বিষয়ে মতবিরোধ হলে ঠান্ডা মাথায় বুঝিয়ে বলুন।৪. শাশুড়ির পছন্দের মেন্যুগুলো মাঝে মাঝে রান্না করুন। ৫. হঠাৎ করে ছোটখাটো কোনো গিফট উপহার দিতে পারেন।৬. মাঝে মাঝে শাশুড়িকে নিয়ে বেড়িয়ে আসুন কোথাও থেকে। ৭. মাঝে মাঝে শপিংয়েও শাশুড়িকে নিয়ে যেতে পারেন।৮. শাশুড়ির জন্মদিন ও ম্যারেজ ডে ভুলে যাবেন না।৯. সব বিষয়ে শাশুড়ির সঙ্গে কথা বলুন। ১০. শাশুড়িকে বন্ধুর মতো ভাবুন।

আরও পড়ুন: সম্পর্ক তাড়াতাড়ি ভাঙে যেসব কারণে

শাশুড়ির করণীয়১. বউকে আন্তরিকতার সঙ্গে গ্রহণ করুন।২. অযথাই কাজের চাপ দেবেন না। ৩. সাংসারিক সব কাজ ভালো করে বুঝিয়ে দিন। ৪. ভুল হলে তা শুধরে দেবেন পরিবারের একজনের মতো করে।৫. নিজের মেয়ের মতোই আচরণ করুন বউয়ের সঙ্গে। ৬. মনে রাখবেন, আপনার মেয়েও আরেক পরিবারে যাবে বউ হয়ে।৭. বউয়ের ছোটখাটো কাজে প্রশংসা করুন।৮. কখনোই প্রতিবেশী কারো বউয়ের সঙ্গে তার তুলনা করবেন না।

লেখক: কবি ও সাংবাদিক।

এসইউ/জেআইএম