বাবার কবরের পাশে শায়িত হবেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞা।
Advertisement
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বাদ এশা নিজ গ্রাম পরমানন্দপুরে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হবে। এর আগে জাতীয় সংসদ, সরাইল সদর, অরুয়াইল কলেজে পৃথক জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞা শনিবার ভোরে এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আব্দুস সাত্তার অসুস্থতাজনিত কারণে এক সপ্তাহ আগে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলে। তিনি ছয়বারের সংসদ সদস্য ছিলেন। নানা কারণে ইদানীং তিনি বেশ আলোচিত হয়ে ওঠেন।
আব্দুস সাত্তার ভূঞার ছেলে মাইনুল হাসান তুষার মৃত্যু ও জানাজার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, তার বাবা দীর্ঘদিন যাবত কিডনিজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে এক সপ্তাহ আগে তাকে এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার ভোরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
Advertisement
আব্দুল সাত্তার ভূঞা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামের আব্দুল হামিদ ভূঞা ও রহিমা খাতুনের সন্তান। ১৯৩৯ সালের ১৬ জানুয়ারি তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে আইনজীবী পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেন।
উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞা ১৯৭৯ সালে তৎকালীন কুমিল্লা-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি ও জুনের নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১১ সালের নির্বাচনে তৎকালীন চার দলীয় জোট সরকার থেকে টেকনোক্রেট মন্ত্রী হিসেবে আবদুস সাত্তার আইন, মৎস্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন। তবে ২০০৮ সালের নির্বাচনের পরে রাজনৈতিক কার্যক্রম থেকে তিনি নিষ্ক্রিয় ছিলেন।
২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আবারো ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপি এর মনোনীত সংসদ সদস্য হিসেবে জয়লাভ করেন। ২ জানুয়ারি ২০২৩ সালে তাকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জয়লাভ করেন। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা তার হয়ে কাজ করেন।
আবুল হাসনাত মো. রাফি/এসজে/এমএস
Advertisement