বর্তমানে হালিশহর তৈয়্যবিয়া মাদ্রাসায় লেখাপড়া করেন হাফেজ মোহাম্মদ হামিদুল্লাহ। ২০২১ সালের মাঝামাঝিতে কিছু দিনের ব্যবধানে দুইটি মোবাইল হারিয়ে ফেলেন তিনি। মূলত বাসে করে যাওয়ার সময় পকেটমারের খপ্পড়ে পড়েন এ শিক্ষার্থী। মোবাইল হারিয়ে ২০২১ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্দর থানায় হারানো ডায়েরি করে (জিডি) করেন তিনি। দীর্ঘ আড়াইবছর পর তার হারানো দুটো মোবাইল উদ্ধার করে পুলিশ। শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মোবাইল দুটি তাকে ফিরিয়ে দেয় বন্দর থানা পুলিশ। শুধু হামিদুল্লাহ নয় উদ্ধারকৃত ১০৬টি হারানো মোবাইল আনুষ্ঠানিকভাবে মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
Advertisement
বন্দর থানা সূত্রে জানা গেছে, চলতি সেপ্টেম্বর মাসে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে বন্দর থানা এলাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে হারানো ১০৬টি মোবাইল উদ্ধার করে পুলিশ। এরমধ্যে দুই থেকে আড়াই বছর আগে হারিয়ে যাওয়া মোবাইল সেটও রয়েছে। বন্দর থানার এএসআই মো. আনিসুর রহমান, এএসআই দুলাল মিয়া এবং এএসআই ইসমাইল হোসেন হারানো এসব মোবাইল উদ্ধার করতে সক্ষম হন।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সনজয় কুমার সিনহা জাগো নিউজকে বলেন, সেপ্টেম্বর মাসের ১ তারিখ থেকে ২৮ তারিখ পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যক্তির হারিয়ে যাওয়া ১০৬টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। এরমধ্যে সর্বোচ্চ ৭০ হাজার টাকা দামের মোবাইলও রয়েছে। ক্ষেত্রবিশেষে অনেকে পকেটমারের শিকারও হয়েছেন। শুক্রবার বিকেলে মোবাইলের মালিকদের ডেকে এনে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্ধারকৃত মোবাইল সেটগুলো ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বেশিরভাগ মোবাইল বিভিন্ন লোকজন কিনে ব্যবহার শুরু করেছেন। মোবাইল সেটগুলো সচল হওয়ার পর আইএমইআই নম্বর দিয়ে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মোবাইলগুলো শনাক্ত করা হয়। পরে সংশ্লিষ্ট ব্যবহারকারীর কাছ থেকে মোবাইল সেটগুলো উদ্ধার করা হয়। আবার কিছু ছিনতাইকারী গ্রেফতারের পরেও এ ধরণের হারানো মোবাইল উদ্ধার হয়েছে। হারানো কিংবা চোরাই মোবাইল কিনে ব্যবহার করাও অপরাধ। কিন্তু সামগ্রিক বিষয়টি মানবিক বিবেচনায় মোবাইলগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।
Advertisement
এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, দেশের মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। মোবাইল দিয়ে নানা ধরণের অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে। তাই মোবাইল সেট কেনার ক্ষেত্রে নিশ্চিত হয়ে, রশিদের মাধ্যমে কিনে ব্যবহার করা উচিত। বিশেষ করে পুরোনো মোবাইল কেনার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বল করা উচিত। কোন মামলা সংক্রান্ত মোবাইল অপরাধীর কাছ থেকে কিনে ব্যবহার করলে আইনিভাবে বড় কোন মামলাতে ফেঁসে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
এমডিআইএইচ/এসটি/এএসএম