ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিদায়ী কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, সব সরকারি কর্মচারীকে একদিন অবসর নিতে হয়। এর মধ্যে পুলিশের চাকরিটা একটু ব্যতিক্রম, যেখানে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা ব্যস্ততার মধ্যে সময় পার করতে হয়। সেখান থেকে হঠাৎ কর্মহীন হয়ে পড়া মৃত্যুর সমতুল্য।
Advertisement
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটরিয়ামে এক আড়ম্বর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
৩২ বছর ৮ মাস ১০ দিনের দীর্ঘ কর্মযাত্রা শেষে অবসরে যাচ্ছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। সবার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে বিদায়ী কমিশনার বলেন, ডিএমপি বাংলাদেশ পুলিশের সর্ববৃহৎ ইউনিট। এখানে সবসময় দক্ষ ও যোগ্য অফিসারদের পদায়ন করা হয়। এই ইউনিটে প্রায় ১১ মাসের মতো কাজ করতে টিম ডিএমপি সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে।
তিনি বলেন, একাত্তর থেকে আজ পর্যন্ত স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিরা দেশটাকে বারবার পেছনে নেওয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু পুলিশের তৎপরতা তাদের সে চেষ্টা রুখে দিয়েছে।
Advertisement
ডিএমপি টিম হিসেবে মহানগরবাসীর জানমালের নিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে যেভাবে তাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে, আগামী দিনগুলোতেও নতুন কমিশনারকেও সেভাবে সহযোগিতা করার জন্য আহ্বান জানান খন্দকার গোলাম ফারুক।
অনুষ্ঠানে বিদায়ী কমিশনারের বর্ণিল কর্মময় ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন টিম ডিএমপির সদস্যরা।
অনুষ্ঠানে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) ড. খ. মহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) মহা. আশরাফুজ্জামান; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার, উপ-পুলিশ কমিশনার ও বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মেধাবী এ পুলিশ কর্মকর্তা ৯ম ও ১০ম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হলেও নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ১৯৯১ সালে ১২তম বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগ দেন। ২০২২ সালের ২৯ অক্টোবর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ’র ৩৫তম কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি।
Advertisement
আরএসএম/কেএএ