পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় মেঘের রাজ্য খ্যাত সাজেক ভ্যালিতে পর্যটকের চাপ বেড়েছে। টানা তিন দিনের ছুটিতে পর্যটকের পদচারণায় মুখর সাজেক।
Advertisement
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) খবর নিয়ে জানা যায়, সাজেকের প্রায় ১০৮টি রিসোর্টের সবকটি বুকিং। সাজেকে এখন প্রায় সাড়ে তিন হাজারের মতো পর্যটক আছে এখন।
ইকো ভ্যালি ও অবকাশ রিসোর্টের ব্যবস্থাপক দেলোয়ার হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, আমার দুটি রিসোর্ট আছে। বৃহস্পতিবার থেকে সবকটি রুম বুকিং। আগামী এক সপ্তাহ পর্যন্ত পর্যটকের এ চাপ থাকবে বলে মনে হচ্ছে।
জুমঘর রিসোর্টের ব্যবস্থাপক কনক ত্রিপুরা জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের সাতটি কাপল রুম আছে এগুলো আরও সাতদিন আগে বুকিং হয়েছিল। আমাদের রিসোর্ট থেকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ভালোভাবে উপভোগ করা যায়। তাই চাহিদাও বেশি থাকে। আগামী কয়েকদিন রিসোর্ট বুকিং। আশা করা যায় এ সাপ্তাহ জুড়ে বুকিং থাকবে।
Advertisement
চাঁদের বাড়ি রিসোর্টের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ ইয়াছিন জাগো নিউজকে বলেন, আমার রিসোর্টের সবকটি রুম পাঁচদিন আগে বুকিং হয়ে যায়। এখন এমন মানুষ হয়েছে যে রিসোর্ট স্টাফদের থাকার জায়গা হচ্ছে না। সাপ্তাহজুড়ে পর্যটকের চাপ থাকবে। মন্দা সময় কাটিয়ে ভালো একটা ব্যবসা হবে বলে আশা করছি।
ঈদে মিলাদুন্নবির (সা.) সরকারি ছুটি সহ সাপ্তাহিক শুক্র ও শনি দুদিনের ছুটি থাকায় মেঘের রাজ্য সাজেকে এখন এই পর্যটকের ভরপুর।
খাগড়াছড়ি-সাজেক জিপ সমিতির লাইনম্যান ইয়াসিন আরাফাত জাগো নিউজকে বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে জিপ ও ব্যক্তিগত গাড়ি মিলিয়ে প্রায় আড়াইশ পরিবহন সাজেকে প্রবেশ করেছে। প্রায় ১৫০ এর মতো মোটরসাইকেলও ছিল। পর্যটকদের এ বাড়তি চাপের কারণে কিছু পর্যটক রুম পায়নি। রুম না পাওয়ায় কিছু ব্যক্তিগত গাড়ি ফেরত চলে গিয়েছিল। যারা রুম পাননি তারা ক্লাব, মন্দির এবং ত্রিপুরা পল্লীগুলোর বাসাবাড়িতে ছিলেন।
সাইফুল ইসলাম/এসজে/জিকেএস
Advertisement