দেশের ১৫টি ব্যাংকে সুশাসন ফেরাতে কড়া নির্দেশনা দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। তিনি বলেন, সুশাসনের অভাবে ভুয়া ঋণ, ইচ্ছাকৃত খেলাপি, অর্থপাচার এবং অনিয়মে জড়িত হয়ে পড়েন পরিচালকরা। ব্যাংকগুলোতে সুশাসন না ফেরাতে পারলে গ্রাহকদের আস্থা কমে যাবে। আর আস্থা কমে গেলে মানুষ আমানত রাখা নিয়ে দ্বিধায় পড়ে যাবে।
Advertisement
খেলাপি আদায় ও তারল্য বৃদ্ধিসহ ব্যাংকের স্বাস্থ্য উন্নতির লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে করা সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) বাস্তবায়নে জোড়ালো পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেন তিনি। বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ব্যাংকগুলোর পর্যবেক্ষক ও সমন্বয়দের সঙ্গে বৈঠকে গভর্নর এ হুঁশিয়ারি দেন।
পর্যবেক্ষকের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, দেশের ১৫ বাণিজ্যিক ব্যাংকের পর্যবেক্ষক ও সমন্বয়কের সঙ্গে অনুষ্ঠিত তৃতীয় বৈঠকে গভর্নর কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। তারমধ্যে এমওইউ বাস্তবায়ন, ব্যাংকে সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং দুর্বলতারোধে আগাম ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। এ বিষয়ে ব্যাংকগুলোর ওপর নজরদারি বৃদ্ধি এবং ঋণ বিতলণ ও খেলাপি আদায়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।
বৈঠকে অংশগ্রহণকারী একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, দেশের ইসলামী শরিয়ায় পরিচালিত তিনটি ব্যাংক এবং রাষ্ট্রয়াত্ত চারটি ব্যাংকসহ মোট ১৫টি ব্যাংকের পর্যবেক্ষক ও সমন্বয়ককে ব্যাংকগুলোর চুক্তির অগ্রগতি জানতে চেয়েছেন গভর্নর আব্দুর রউফ। তিনি পরামর্শ শুনে কীভাবে চুক্তি বাস্তবায়নের হার বৃদ্ধি এবং অন্যান্য দুর্বল জায়গায় চিহ্নিত করা যায় যেই বিষয়ে নির্দেশনা দেন। একই সঙ্গে ব্যাংকগুলোয় মনিটরিং জোর দিতে পরামর্শ দেন।
Advertisement
জানা গেছে, সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালককে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আর সমন্বয়ক হিসেবে নিয়োগ রয়েছে এমন সাতটি ব্যাংক হলো– ন্যাশনাল ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক, এবি ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক।
ইএআর/বিএ/জিকেএস