খেলাধুলা

আমেরিকা থেকে উড়িয়ে আনা বক্সার ৫-০ পয়েন্টে বিধ্বস্ত

সারা বছর যারা দেশে খেলাধুলা করে ঘাম ঝরান, যারা ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় একের পর এক সাফল্য অর্জন করেন তাদের বাদ দিয়ে কিছু ক্রীড়া সংগঠকের ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রবাসী ক্রীড়াবিদ এনে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় পাঠিয়ে দেওয়া নিয়ে সমালোচনা হয়ে আসছে আগে থেকেই।

Advertisement

ফুটবলে ডেনমার্ক প্রবাসী জামাল ভূঁইয়া ও ফিনল্যান্ড প্রবাসী তারিক রায়হান কাজী মাঠে দারুণ পারফরম্যান্স করলেও ব্যক্তিগত ইভেন্টে যাদের এনে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে তুলে দেওয়া হচ্ছে, তারা প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছেন না। যার সর্বশেষ উদাহরণ আমেরিকা প্রবাসী বক্সার জিন্নাত ফেরদৌস।

কিছু ক্রীড়া সংগঠক অনেক বড় করে জিন্নাতকে উপস্থাপন করেছিলেন। ১৯৮৬ সালে মোশারফ হোসেনের পর জিন্নাতের মাধ্যমে এশিয়ান গেমসে ব্যক্তিগত পদক আসতে পারে-এমনও প্রচার করা হয়েছিল। কিন্তু সেই জিন্নাত বুধবার হাংজুতে ৫০ ওজন শ্রেণিতে ৫-০ পয়েন্টে বিধ্বস্ত হয়েছেন মঙ্গোলিয়ার ইয়েসুগেনের কাছে।

জিন্নাত প্রথম রাউন্ডে বাই পাওয়ার পর বিওএ কর্মকর্তাদের মুখের হাসি চওড়া হয়েছিল। কিন্তু জিন্নাতকে যে অনেক ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে উপস্থাপন করা হয়েছিল, তা বোঝা গেলো রিংয়ে লড়াইয়ের পরই। ৫ জন বিচারকই প্রতি রাউন্ডে মঙ্গোলিয়ার বক্সারকে বিজয়ী ঘোষণা করেছেন। তাই হারের ব্যবধান ৫-০।

Advertisement

প্রিকোয়ার্টার ফাইনাল থেকে জিন্নাতের এমন বিদায়ের পর পুরনো সমালোচনা আবার নতুন করে শুরু হয়েছে। দেশের অ্যাথলেটদের বঞ্চিত করে প্রবাসী ধনীর সন্তানদের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অভিষেক করিয়ে কারা ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হচ্ছেন, তা ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের খুঁজে বের করা উচিত বলেও অনেকে মনে করছেন।

আরআই/এমএমআর/জেআইএম