জাতীয়

দুপুর থেকে ঢাকায় যানজট, বিজয় সরণিতেই ঘণ্টা পার

টানা তিনদিনের ছুটির আগে শেষ কর্মদিবস আজ বুধবার। কেউ কেউ শেষ কর্মদিবসে সপ্তাহের জমে থাকা কাজ শেষ করতে ছুটছেন, আবার কেউ ছুটি পেয়ে গ্রামের বাড়ি বেড়াতে যাচ্ছেন। তবে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন যারা তাদের বেশিরভাগই আগেভাগে কাজ শেষ করে বের হয়েছেন দুপুরের পরপরই। এসব কারণে দুপুরের পর থেকে রাজধানীর অনেক এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজটের। বিশেষ করে অফিস পাড়াগুলোতে গাড়ির চাপ বেড়েছে অনেক বেশি।

Advertisement

সরেজমিনে রাজধানীর তেজগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার এলাকায় দেখা গেছে এমন চিত্র। বেশিরভাগ এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয় দুপুরে। দুপুরের পরপরই বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার সিগন্যালে গাড়িগুলো দীর্ঘ সময় আটকে থাকতে দেখা গেছে। এর প্রভাব পড়ে আশপাশের সড়কগুলোতে। এতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সড়কে গাড়ির মধ্যে বসে থাকতে হয় অনেককেই। এই গরমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা গাড়িতে বসে থেকে অস্বস্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।

আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে ৩ দিনের ছুটি

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তেজগাঁও থেকে ধানমন্ডি আসেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী কামরুল এমদাদুল। তিনি জানান, বিজয় সরণি দিয়ে সিএনজিতে খামারবাড়ি আসতে লেগেছে দুই ঘণ্টা। বিজয় সরণি পার হতেই লেগেছে প্রায় এক ঘণ্টা, যেখানে অন্য দিন ১০ মিনিটের মতো সময় লাগে।

Advertisement

কারওয়ান বাজারে আসা শোয়েব বলেন, দুপুর ২টার দিকে ফার্মগেট-খামারবাড়ি এলাকার পুরোটাই ছিল যানজট। বাধ্য হয়েই বাস থেকে নেমে হেঁটে এসেছি।

আরও পড়ুন: তৃতীয় টার্মিনাল পুরোপুরি চালু হলে চাপ বাড়বে বিমানবন্দর সড়কে

বিকেল ৩টার দিকে ফার্মগেটে কথা হয় এক ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনি বলেন, যানবাহনের ধীরগতি, কিন্তু থেমে নেই। ফলে সড়কে সিগন্যাল আছে, কিন্তু তীব্র যানজট বলা যাবে না।

তিনি বলেন, অফিসের সময় শেষ হলে এ এলাকায় প্রতিদিনই গাড়ির চাপ বাড়ে। তবে টানা কয়েকদিনের ছুটি থাকায় আজ গাড়ির সংখ্যা অনেক বেশি।

Advertisement

এর আগে দুপুরে এবং সকালেও এ এলাকায় যানজট ছিল না বলে জানান ট্রাফিক পুলিশের এই কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন: এবার বাড়ছে পদ্মা সেতুর নদী শাসনের ব্যয়

খামারবাড়ি ভবনের সামনে কথা হয় সিএনজি অটোরিকশাচালক এরশাদ হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, আজ সব রাস্তায়ই কম-বেশি যানজট আছে। অবস্থা খুব খারাপ। ভাড়া নিয়ে (যাত্রী নিয়ে) ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় বসে থাকতে হচ্ছে।

এনএইচ/কেএসআর/জেআইএম