দেশজুড়ে

দেড় মাসে ২২ গরুর মৃত্যু, চিকিৎসকের পরামর্শেও মিলছে না প্রতিকার

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বেড়েছে গবাদিপশুর ল্যাম্পি স্কিন (এলএসডি) রোগের উপদ্রব। গত দেড় মাসে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২২টি গরু। এমনকি এখনো অনেক গরু এই রোগে আক্রান্ত। এতে করে আতঙ্কে দিন কাটছে গরু খামারি ও কৃষকদের। স্থানীয় চিকিৎসকদের শরণাপন্ন হয়েও মিলছে না প্রতিকার।

Advertisement

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গরু খামারি মনজুরুল আলম মানিক বলেন, ল্যাম্পি স্কিন রোগে আমার খামারের দুটি গরু মারা গেছে। এ নিয়ে আমি খুব দুশ্চিন্তায় আছি। একই সঙ্গে দেখা দিয়েছে গরুর ক্ষুরা রোগ। কিন্তু প্রাণিসম্পদ বিভাগে পাওয়া যাচ্ছে না ল্যাম্পি স্কিন রোগের টিকা। এতে চিকিৎসা করাতে না পেরে মারা যাচ্ছে গরু।

আরও পড়ুন: ছড়িয়ে পড়ছে গরুর ল্যাম্পি স্কিন রোগ, আতঙ্কে খামারি-কৃষক

শিবগঞ্জ উপজেলার পাকা ইউনিয়নের বাসিন্দা আশরাফ আলী বলেন, গো-খাদ্যের দাম বাড়ার ফলে খামারের গরুগুলোকে লালন-পালন করতেই হিমসিম খাচ্ছি। তার ওপর আবার ল্যাম্পি স্কিন রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এতে গরু মারা যাচ্ছে, অনেক গরু আক্রান্ত হয়েছে। খামারে এ রোগ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে আমার পথে বসা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।

Advertisement

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত ৮০০ বেশি গরুকে আমরা ল্যাম্পি স্কিন রোগের চিকিৎসা দিয়েছি। আমাদের তথ্য মতে এখন পর্যন্ত জেলায় ২২টি গরুর মৃত্যু হয়েছে। তবে এখন রোগটিতে আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কমে এসেছে।

তিনি আরও বলেন, জেলায় খামারিদের তুলনায় প্রান্তিক কৃষকদের গরু ল্যাম্পি স্কিন রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এ রোগ প্রতিরোধের কোনো টিকা নেই। গরুর সঠিক পরিচর্যা ও বাসস্থান পরিষ্কার পরিছন্ন রাখার মাধ্যমে এ রোগ ছড়িয়ে পড়া রোধ করা সম্ভব। আমরা মাঠ পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে কাজ করে যাচ্ছি। আক্রান্ত গরুর সুচিকিৎসার জন্য উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে দ্রুত যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

সোহান মাহমুদ/জেএস/এএসএম

Advertisement