বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা ও বিধিনিষেধ আরোপ করছে যুক্তরাষ্ট্র। সর্বশেষ সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিভিন্ন দেশের মোট ২৮টি প্রতিষ্ঠানের ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় ১১টি চীনা প্রতিষ্ঠান ও পাঁচটি রুশ প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
Advertisement
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার জন্য ড্রোন তৈরিতে ব্যবহৃত খুচরা যন্ত্রাংশ তৈরি করে বলে অভিযোগ আনা হয়েছে। ফলে তাদের কাছে প্রযুক্তি রপ্তানি করতে পারবে না মার্কিন সরবরাহকারীরা।
আরও পড়ুন: ‘যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বাংলাদেশ চিন্তিত নয়’
রয়টার্সের খবরে বলা হয়, সোমবার চীন, রাশিয়া, ফিনল্যান্ড ও জামার্নির প্রতিষ্ঠানসহ মোট ২৮টি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
Advertisement
এক বিবৃতিতে মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ বিভাগের প্রধান অ্যালান এস্তেভেজ বলেছেন, যারা ইউক্রেনে পুতিনের অবৈধ ও অনৈতিক যুদ্ধে সরঞ্জাম সরবরাহ ও সমর্থন করবে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ও অর্থপূর্ণ ব্যবস্থা নিতে আমরা কোনো দ্বিধা করব না।
যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, চীনের এশিয়া প্যাসিফিক লিংকস লিমিটেড এও রাশিয়ার এসএমটি-আইলজিকসহ নয়টি কোম্পানি রাশিয়ার মেইন ইন্টেলিজেন্স ডিরেক্টরেট অব দ্য জেনারেল স্টাফের (জিআরইউ) জন্য ড্রোন যন্ত্রাংশ সরবরাহ করার পরিকল্পনায় অংশ নিয়েছিল।
আরও পড়ুন: গণমাধ্যমের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা/ পিটার হাসের সঙ্গে ভিন্নমত মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের
তদন্তে দেখা গেছে, হংকংভিত্তিক রপ্তানিকারক এশিয়া প্যাসিফিক লিংকস লিমিটেড রাশিয়ার ড্রোন সরবরাহকারীদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমদানি সংস্থা এসএমটি আইলজিকের সঙ্গে এই ফার্মটি গত মে মাসে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য ছিল। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো সাড়া দেয়নি এসব প্রতিষ্ঠান।
Advertisement
গত বছর লন্ডনের প্রতিরক্ষা থিংক ট্যাংক রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইনস্টিটিউটের সহযোগিতায় ড্রোনের যন্ত্রাংশ রাশিয়ায় পাঠানোর একটি ষড়যন্ত্র উন্মোচন করেছিল রয়টার্স ও রুশ গণমাধ্যম আইস্টোরিজ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ভিসানীতি বাস্তবায়ন শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র
এর আগে গত মঙ্গলবার তেহরানের ড্রোন ও সামরিক বিমান নির্মাণকে কেন্দ্র করে ইরান, রাশিয়া, চীন ও তুরস্কের সাত ব্যক্তি ও চার প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় ওয়াশিংটন।
ওই দিন এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র জানায়, ওই সাত ব্যক্তি ও চার প্রতিষ্ঠান ইরানের এয়ারক্রাফ্ট ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রিয়াল কোম্পানির চালান ও লেনদেনে সহায়তা করেছে। একই সঙ্গে তারা দেশটির ড্রোন ও সামরিক বিমান নির্মাণের প্রচেষ্টায় সহায়তা করেছে।
সূত্র: রয়টার্স
এসএএইচ