সালিশ বৈঠকে সংসারের ইতি টেনে দুধ দিয়ে গোসল করছেন রুবেল ফকির (৩৫) নামে এক অটোরিকশার চালক। রোববার বিকেলে (২৪ সেপ্টেম্বর) টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার কুড়াগাছা ইউনিয়নের চাপাইদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
Advertisement
জানা যায়, রুবেল চাপাইদ গ্রামের হাসমত আলী ফকিরের ছেলে। ২০২১ সালের ২৭ মে পারিবারিকভাবে একই উপজেলার কুড়াগাছা উত্তরপাড়া গ্রামের সুরুজ আলীর মেয়ে রুমি আক্তারকে (৩০) বিয়ে করেন তিনি। সংসার জীবন শুরুর আগেই উভয়েরই বিয়ে হয়েছিল। তাদের উভয়ের সংসারেই একটি করে ছেলে সন্তান আছে।
রুবেল মিয়া বিয়ের পর থেকেই উভয়ের সন্তানকে নিয়ে সংসার জীবন অতিবাহিত করছিলেন। কিছুদিন যাওয়ার পর থেকেই রুমি আক্তার তার গর্ভের সন্তানকে যত্ন করলেও রুবেলের সন্তানের প্রতি অবহেলা শুরু করেন। বিষয়টি রুবেলের নজরে এলে সংসারে মনোমালিন্য শুরু হয়। এ নিয়ে দাম্পত্য কলহ দিনদিন বাড়তে থাকে। একাধিকবার সালিশ বৈঠক হলেও এর সমাধান হয়নি।
সম্প্রতি একে অপরের প্রতি নানা অভিযোগ তুলতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে রুবেল ফকির রুমি আক্তারের সন্তানকে বাড়িতে রাখতে অসম্মতি জানান। এ নিয়ে তাদের দ্বন্দ্ব আরও প্রকট হয়। নিত্য কলহে সংসারে অশান্তি নেমে আসে। অবশেষে রোববার কুড়াগাছা ইউনিয়নের চাপাইদ গ্রামে স্থানীয় মাতব্বরদের উপস্থিতিতে সালিশ বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে রুবেল ফকির রুমি আক্তারকে এক লাখ ৩৫ হাজার টাকা দেওয়ার শর্তে তাদের দাম্পত্য জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটে।
Advertisement
সালিশ বৈঠকে রুবেল ফকির নগদ এক লাখ টাকা পরিশোধ করেন। বাকি ৩৫ হাজার টাকা দ্রুত পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দেন। বৈঠক শেষে রুবেল ফকির বাড়তি গিয়ে পানির সঙ্গে দুধ মিশিয়ে গোসল করে মুক্তির স্বাদ গ্রহণ করেন। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
রুবেল ফকির বলেন, শান্তির আশায় গড়া সংসারে অশান্তি নেমে এসেছিল। সালিশ, সালিশ, সালিশ আর ভালো লাগে না। অবশেষে উভয়ের সম্মতিতে সংসারে ইতি টেনে প্রশান্তি পাচ্ছি।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সালিশ বৈঠকের মাতব্বর আব্দুল মান্নান ও ওসমান আলী। তারা বলেন, অটোরিকশাচালক রুবেল ও গৃহবধূ রুমি আক্তারের সম্মতিতেই তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে।
তবে বিষয়টি জানা নেই বলেছেন কুড়াগাছা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. ফজলুল হক সরকারের।
Advertisement
আরিফ উর রহমান টগর/এসজে/জিকেএস