ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইলি কোহেন বলেছেন, সৌদি আরব ‘আব্রাহাম অ্যাকর্ডসে’ (ইসরায়েল-সংযুক্ত আরব আমিরাত-বাহরাইন শান্তিচুক্তি) সই করার পর আফ্রিকা ও এশিয়ার কয়েকটি মুসলিম দেশ সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে বলে মনে হচ্ছে। তবে কোনো দেশের নাম উল্লেখ করেননি কোহেন।
Advertisement
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। এরপরই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমন ইঙ্গিত দেন।
কয়েকদিন আগে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছিলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্কের ঐতিহাসিক স্বাভাবিকীকরণ প্রক্রিয়ার অগ্রগতি হচ্ছে। এরই মধ্যে শান্তিচুক্তিতে সই করে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, মরক্কো ও সুদান।
শুক্রবার ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে শান্তি চুক্তি মানে গোটা মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে শান্তি চুক্তি। এরই মধ্যে আমরা ছয়-সাতটি দেশের সঙ্গে কথা বলেছি। এসব দেশের সঙ্গে আগে আমাদের কোনো সম্পর্ক ছিল না, কিন্তু তারা শান্তিচুক্তির বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
Advertisement
এর আগে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্কের ঐতিহাসিক স্বাভাবিকীকরণ প্রক্রিয়ার অগ্রগতি হচ্ছে। তবে রিয়াদের কাছে ফিলিস্তিন ইস্যুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সৌদি আরব সবার আগে এটির সমাধান চাই।
ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে যেসব শর্ত রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো, ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইসরাইলের সম্ভাব্য ছাড় দেওয়া, সৌদি আরবকে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা দেবে, তার নিশ্চয়তা দেওয়া এবং দেশটিকে বেসামরিক পরমাণু প্রযুক্তি অর্জনে সহায়তা করা।
সূত্র: দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল
এসএএইচ
Advertisement