খরগোশ তৃণভোজী ও স্তন্যপায়ী একটি প্রাণী। এদের লেজ খাটো এবং কান ও পেছনের পা লম্বা। বনে জঙ্গলে সাধারণত তৃণভূমি এলাকায় খরগোশ বসবাস করে। এছাড়া এটি গৃহপালিত প্রাণী হিসেবেও জনপ্রিয় ও প্রসিদ্ধ। আমাদের দেশে অনেকেই খরগোশ পোষেন।
Advertisement
ইসলামি শরিয়তে খরগোশ পালন করা বৈধ, খরগোশের মাংসও হালাল। সহিহ বুখারি ও মুসলিমে বর্ণিত রয়েছে আনাস ইবনে মালেক (রা.) বলেন,
مَرَرْنَا فَاسْتَنْفَجْنَا أَرْنَبًا بِمَرِّ الظَّهْرَانِ فَسَعَوْا عَلَيْهِ فَلَغَبُوا . قَالَ فَسَعَيْتُ حَتَّى أَدْرَكْتُهَا فَأَتَيْتُ بِهَا أَبَا طَلْحَةَ فَذَبَحَهَا فَبَعَثَ بِوَرِكِهَا وَفَخِذَيْهَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَتَيْتُ بِهَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَبِلَهُ
মক্কার মাররুজ জাহরান এলাকায় একটি খরগোশকে ধাওয়া করলাম। আমার সাথে আরও অনেকেই সেটির পেছনে ছুটছিলো। এক পর্যায়ে সবাই ক্লান্ত হয়ে পড়লো। আমি হাল না ছেড়ে ছুটতে থাকলাম এবং শেষ পর্যন্ত খরগোশটিকে ধরে ফেললাম। খরগোশটিকে আবু তালহার কাছে নিয়ে গেলে তিনি সেটিকে জবাই করেন এবং এর পেছনের অংশ ও উভয় রান রসুলের (সা.) এর কাছে পাঠান। আমি সেগুলো রসুলের (সা.) কাছে নিয়ে গেলে তিনি তা গ্রহণ করেন। (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম)
Advertisement
ইমাম আবু হানিফা, ইমাম মালেক, ইমাম শাফেঈ ও ইমাম আহমদসহ (রহ.) অধিকাংশ ফকিহর মতে খরগোশ খাওয়া হালাল। কেউ কেউ নখ থাকা ও হিংস্র হওয়ার কারণে খরগোশ খাওয়া মাকরুহ বা অপছন্দনীয় বলেছেন। কিন্তু খরগোশ খাওয়াকে কেউ হারাম বলেন না এবং শরিয়তের মূল উৎসগুলোতে খরগোশ খাওয়াকে হারাম বলার মতো কোনো দলিলও নেই।
সূত্র: ইসলাম ওয়েব
ওএফএফ/এএসএম
Advertisement