এ নিয়ে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ১১তম আসর অনুষ্ঠিত হলো। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৬বার ফাইনাল উঠলো গায়ানা ওয়ারিয়র্স। কিন্তু আগের ৫বার খালি হাতেই ফিরতে হয়েছিলো দলটিকে। অবশেষে ৬ষ্ঠবারে এসে শিরোপা হাতে তুলে নেয়ার সুযোগ পেলো গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স।
Advertisement
সিপিএলের এবারের ফাইনালে শাহরুখ খানের দল ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সকে ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নের মুকুট পরে নিয়েছে গায়ানা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৯৪ রানে অলআউট হয়ে যায় ত্রিনবাগো। ১৪ ওভারেই ১ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় গায়ানা।
সিপিএলের প্রথম দুই আসরের ফাইনাল খেলেছিলো গায়ানা। এরপর ২০১৮-১৯ সালেও দু’বার ফাইনাল খেলেছিলো তারা। মাঝে ২০১৬ সালেও উঠেছিলো ফাইনালে। কিন্তু ওই ৫ বারের একবারও শিরোপা জয় করতে পারেনি তারা। প্রতিবারই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিলো রানারআপ হয়ে। অবশেষে ৬ষ্ঠ বার ফাইনালে উঠে চ্যাম্পিয়ন হলো তারা।
টস জিতে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানায় গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সের অধিনায়ক ইমরান তাহির। ব্যাট করতে নেমে গায়ানার বোলারদের রীতিমত তোপের মুখে পড়ে ত্রিনবাগার ব্যাটাররা। শেষ পর্যন্ত ১৯.১ ওভারে ৯৪ রানে অলআউট হয়ে যায় ত্রিনবাগো।
Advertisement
জবাব দিতে নেমে গায়ানার ব্যাটাররা রীতিমত ঝড় তুলেছিলেন ত্রিনবাগো বোলারদের ওপর। পাকিস্তানি ওপেনার সাইম আইয়ুব ৪১ বলে ৫১ রান করেন। ১১ রান করে আউট হয়েছিলেন কিমো পল। ৩২ বলে ৩২ রান করেন শাই হোপ। ৩৬ বল হাতে রেখেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় গায়ানা।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে কিসি কার্টি ছাড়া ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের আর কোনো ব্যাটারই রান করতে পারেননি। কিসি কার্টি করেন ৩৮ রান। ১৬ রান করেন মার্ক দেয়াল এবং ১০ রান করেন চ্যাডউইক ওয়াল্টন। অন্যরা দুই অংকের ঘরও স্পর্শ করতে পারেননি। গায়ানার হয়ে ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। ২টি করে উইকেট নেন গুদাকেশ মোতি এবং ইমরান তাহির।
আইএইচএস/
Advertisement