ধূমপান ক্যানসারের কারণ জেনেও ধূমপায়ীরা তা গ্রাহ্য করেন না। ধূমপান একটি রোগ নয় বরং কঠিন ক্যানসার, হৃদরোগ, স্ট্রোক, ফুসফুসের রোগ, ডায়াবেটিস ও দীর্ঘস্থায়ী অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজসহ (সিওপিডি) বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
Advertisement
এমনকি যক্ষ্মা ও চোখের রোগেরও ঝুঁকি বাড়ায় ধূমপান। এটি স্বাস্থ্যের জন্য যেমন ক্ষতিকর, তেমনই ধূমপায়ীর আশেপাশে যারা থাকেন; তারাও পরোক্ষ ধূমপানের কারণে নানা ব্যাধিতে আক্রান্ত হতে পারেন।
আরও পড়ুন: ধূমপান ছাড়ুন ৪ উপায়ে
২০২২ সালে প্রকাশিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুসারে, বিশ্বব্যাপী প্রায় ৭ মিলিয়ন ব্যক্তি ধূমপানের কারণে বিভিন্ন অসুখে ভোগেন। আরও ১.২ মিলিয়ন মানুষ পরোক্ষ ধূমপানের কারণে বিভিন্ন সমস্যায় ভোগেন।
Advertisement
আজ বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস। প্রতি বছর বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালিত হয় ধূমপানের ক্ষতিকারক স্বাস্থ্যগত প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এবং মানুষকে ধূমপান ত্যাগে উৎসাহিত করতে।
যেহেতু বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়ায় ধূমপান, এ কারণে ডাক্তার যদি জানেন রোগী ধূমপায়ী সে ক্ষেত্রে প্রথমেই তাকে ধূমপান ছাড়ার পরামর্শ দেন।
আরও পড়ুন: প্রতিদিন ধূমপানে মস্তিষ্ক ছোট হয়ে যায়, বলছে গবেষণা
ধূমপান ত্যাগ করা স্বল্পমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী উভয় উপকার আনতে পারে। ধূমপান ছাড়ার পর শরীরে যেসব পরিবর্তন ঘটে, তা জেনে নিন-
Advertisement
>> ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার ২০ মিনিটের মধ্যে হৃদস্পন্দন এবং রক্তচাপ স্বাভাবিক সীমায় ফিরে আসে।
>> ধূমপান ছাড়ার ১২ ঘণ্টা পর কার্বন মনোক্সাইডের (একটি বিষাক্ত গ্যাস) মাত্রা কমতে শুরু করে।
>> ২-১২ সপ্তাহ পরে রক্ত সঞ্চালন ও ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়তে শুরু করে। ১২ সপ্তাহের মধ্যে হার্ট এবং ফুসফুস সঠিক পরিমাণে অক্সিজেন পেতে শুরু করে।
আরও পড়ুন: ধূমপান কি সত্যিই পুরুষের বন্ধ্যাত্ব ডেকে আনে?
>> ধূমপান ছাড়ার ১-৯ মাস পরে কাশি এবং শ্বাসকষ্টের পরিমাণ অনেক কমে যায়।
>> টানা এক বছর ধূমপান থেকে বিরত থাকলে কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ হওয়ার ঝুঁকি অর্ধেকের নিচে নেমে যায়।
>> ধূমপান ছাড়ার পাঁচ বছর পরে স্ট্রোকের ঝুঁকি একেবারেই কমে যায়।
আরও পড়ুন: চায়ের সঙ্গে ধূমপান করে যে সর্বনাশ ডেকে আনছেন
>> ধূমপান ত্যাগ করার ১০ বছর পরে মুখ, গলা, খাদ্যনালী, ফুসফুস, মূত্রাশয়, জরায়ু এবং অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারের ঝুঁকি অর্ধেক হয়ে যায়।
>> ধূমপান বন্ধ করার প্রায় ১৫ বছর পর করোনারি হার্ট ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি একেবারেই কমে যায়।
মনে রাখবেন, একটি সিগারেট বর্জন করলে আপনার আয়ু বাড়বে ৩০ সেকেন্ড। অন্যদিকে একটি সিগারেট গ্রহণ করলে আপনার আয়ু কমবে ১১ মিনিট। তাই আজ থেকেই তামাককে না বলুন ও সুস্থতা নিশ্চিত করুন।
সূত্র: ফার্স্ট পোস্ট
জেএমএস/এসইউ/এমএস