মালয়েশিয়ায় মৃত্যুদণ্ড থেকে রেহাই পেয়েছেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী আশরাফুল আলম (২৮)। ২০১৬ সালে ৯ কেজি মেথামফেটামিন মাদক বহনের দায়ে কারাবন্দি ছিলেন তিনি। ২০ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগ তার শাস্তি কমিয়ে ১৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ বেত্রাঘাত নির্ধারণ করেছেন।
Advertisement
২০ সেপ্টেম্বর অ্যাস্ট্রো আওয়ানির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের ১৩ আগস্ট সেলাংগর রাজ্যের আমপাং এলাকার জালান- ৩ এ ৯ কেজি ১৮০ গ্রাম মেথামফেটামিন মাদকসহ আটক করা হয় তাকে। ২০১৯ সালে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে শাস্তি দেন আদালত।
বাংলাদেশি আশরাফুল আলম ছাড়াও এই মামলায় অপরাধী হিসেবে সাজাপ্রাপ্তরা হচ্ছেন- ভারতীয় নাগরিক আরিভাঝাগান মুরুগেসান (৫০) এবং মালয়েশিয়ান নাগরিক কে. দিনাকারান (৫০)।
আদালত জানিয়েছেন, এই শাস্তি তাদের গ্রেফতার হওয়ার দিন ২০১৬ সালের ১৩ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে। এর আগে উচ্চ আদালতে তাদের অপরাধের রায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলে অপরাধীরা আপিল বিভাগে তাদের শাস্তি কমানোর জন্য আবেদন করেন। আপিল বিভাগের বিচারক হাধারিয়াহ সৈয়দ ইসমাইল, আজমান আব্দুল্লহ এবং এস.এম. কোমাথি সুপ্পিয়াহ শাস্তি কমিয়ে আনার এই রায় দেন।
Advertisement
তিন অপরাধীর আইনজীবী আফিফুদ্দিন আহমেদ হাফিফি আদালতের কাছে সাজা কমিয়ে ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে নিয়ে আসার আবেদন জানিয়েছিলেন। বিচারপতি হাধারিয়া বলেন, তিনজনের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগটিতে ত্রুটি রয়েছে। মামলায় বলা হয়েছে, তারা মাদক পাচার করার সঙ্গে জড়িত ছিল। তবে আসলে তারা উৎপাদন করতো এগুলো।
তিনি বলেন, হাইকোর্টের বিচারক প্রসিকিউশনের মামলার শেষে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের যথাযথ সুযোগ দেননি এবং তাদের সুরক্ষা দেওয়ারও যথাযথ পদক্ষেপগুলো আমলে নেওয়া হয়নি।
বিচারক হাধারিয়াহ আরও বলেন, মাদকের মামলায় তাদের শাস্তি কমিয়ে আনতে ব্যবস্থা নিয়েছেন আদালত। ২০১৬ সালে দিনাকারণ একজন নিম্নজীবী মানুষ, আশরাফুল তখন শিক্ষার্থী ছিলেন এবং আরিভাঝাগান একজন দিনমজুর। তারা এরই মধ্যেই তাদের অপরাধ স্বীকার করেছেন।
এমআরএম/এমএস
Advertisement