দেশজুড়ে

আশ্বিনে ঝরছে শ্রাবণের বারিধারা

ঋতু বৈচিত্র্যের লীলাভূমি বাংলার চিরায়ত রূপ বদলে যেন আষাঢ়-শ্রাবণকেও হার মানিয়েছে আশ্বিনের বারিধারা। এ অসময়ের টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে রংপুরের নিম্নাঞ্চল। পানি জমে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। এতে করে চরম বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষরা।

Advertisement

আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগে ৮৩১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এরমধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে নীলফামারীর সৈয়দপুরে।

এ বিষয়ে রংপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান জাগো নিউজকে বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগে হওয়া ৮৩১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের মধ্যে নীলফামারীর সৈয়দপুরে সর্বোচ্চ ২৫৯.৪ মিলিমিটার এবং রংপুরে ১০৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা এ মৌসুমে ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। আরও দুদিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।

আরও পড়ুন: অন্যদের বাঁচাতে গিয়ে পরপারে অনিক খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টানা বৃষ্টিতে রংপুর নগরীর কামাল কাছনা, মাহিগঞ্জ, বোতলা, নিউ জুম্মাপাড়া, পূর্ব জুম্মাপাড়া, তাজহাট, বাবুপাড়া, কামারপাড়া, আদর্শপাড়া, নগর মীরগঞ্জ, শালবন, মিস্ত্রিপাড়া, কলাবাড়ি দর্শনা, মর্ডান মোড় সংলগ্ন বিভিন্ন মহল্লা, মুন্সিপাড়া, হনুমান তলা, মুলাটোল, মেডিকেল পাকার মাথা ও জলকরসহ বিভাগের আট জেলার বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।

Advertisement

রংপুর নগরীর মুন্সিপাড়া এলাকার পান দোকানি সুমন বলেন, পাড়ার মোড়ে ছোট্ট একটি পানের দোকান চালিয়ে সংসার চলে। টানা বৃষ্টিতে দোকান খোলা সম্ভব হয়নি।

বাবুখাঁ এলাকার রিকশাচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, একদিন রিকশা নিয়ে বের হতে না পারলে দেনা বেড়ে যায়। শনিবার থেকে টানা বৃষ্টির কারণে বাইরে মানুষের চলাফেরা কমে গেছে। রিকশা বন্ধ করে ঘরে বসে দিন পার করছি।

কুকরুল এলাকার স্বপ্না রানী জানান, রাত থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষ।

আরও পড়ুন: রাতভর বৃষ্টিতে ভাসছে নাগপুর

Advertisement

রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ওবায়দুর রহমান মণ্ডল জাগো নিউজকে বলেন, এখন ধানের মৌসুম। এই বৃষ্টি ধানের জন্য খুবই উপকারী। তবে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে সবজি ক্ষেতে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। যা পানি নেমে যাওয়ার পর বোঝা যাবে।

জিতু কবীর/জেএস/জেআইএম