অর্থনীতি

আয়কর রিটার্নে যেভাবে দেখাবেন সঞ্চয়পত্রের সুদ

সঞ্চয়পত্রের মুনাফাকে আয় হিসেবে ধরার যে নতুন নিয়ম যুক্ত হয়েছিল আয়কর আইনে- তা থেকে সরে এসেছে সরকার। অর্থাৎ, সঞ্চয়পত্রের মুনাফার ওপর অতিরিক্ত কর নেওয়া হবে না। আগের মতোই শুধুই উৎসে কর কাটা হবে।

Advertisement

সম্প্রতি এক আদেশে এই তথ্য জানায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

সঞ্চয়পত্রের সুদ করযোগ্য আয়। আয়কর রিটার্নে এটি করমুক্ত আয় ঘরে দেখানো যাবে না। যদিও সঞ্চয়পত্রের সুদ গ্রাহককে দেওয়ার আগেই তা থেকে ৫ থেকে ১০ শতাংশ হারে উৎসে কর কেটে রাখে। আয়কর রিটার্নে সঞ্চয়পত্রের সুদকে আয় হিসেবে দেখানোর পাশাপাশি তা থেকে যে উৎসে কর কাটা হয়েছে তা উল্লেখ করতে হবে। তবে এই আয়ের ওপর নতুন করে কোনো কর দিতে হবে না।

আরও পড়ুন: দেরিতে আয়কর রিটার্ন জমা দিলে জরিমানা বাড়ছে

Advertisement

ধরা যাক, কোনো দোকানির ১০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র রয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তার ব্যবসা থেকে আয় ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। সঞ্চয়পত্রের সুদ থেকে আয় এক লাখ ১০ হাজার ৪০০ টাকা। সুদের আয় থেকে উৎসে কর বাবদ ১১ হাজার ৪০ টাকা কাটা হয়েছে। এই করদাতার মোট আয় (৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা + ১ লাখ ১০ হাজার ৪০০ টাকা) ৬ লাখ ৬০ হাজার ৪০০ টাকা। তবে নতুন আইন অনুযায়ী এই করদাতার আয়কর ধরা হবে ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার। সঞ্চয়পত্রের মুনাফা বাবদ আয় এক লাখ ১০ হাজার ৪০০ টাকার আয়কর দেওয়া লাগবে না।

তাহলে আলোচ্য অর্থবছরে ওই দোকানির আয়কর দিতে হবে ১৫ হাজার টাকা। যেহেতু ওই দোকানির করযোগ্য আয় ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এর মধ্যে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা আয়কর মুক্ত। বাকি দুই লাখ টাকার প্রথম এক লাখের আয়কর দিতে হবে ৫ হাজার টাকা। পরবর্তী এক লাখের জন্য আয়কর দিতে হবে ১০ হাজার টাকা।

আরও পড়ুন: রিটার্ন দাখিলে যেসব কাগজপত্র জমা দিতে হবে

তবে তার সঞ্চয়পত্রের মুনাফা বাবদ আয় থাকায় রিটার্নের সঙ্গে তাকে সঞ্চয়পত্রের আয়কর কর্তনের সনদ ও ব্যাংক স্টেটমেন্ট জমা দিতে হবে। পাশাপাশি রিটার্ন ফরমে আয়ের ঘরে সঞ্চয়পত্রের সুদ আয় বাবদ এক লাখ ১০ হাজার ৪০০ টাকা ও উৎসে কর কর্তনের ঘরে ১১ হাজার ৪০ টাকা লিখতে হবে।

Advertisement

এসএম/কেএসআর/জেআইএম