চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শারজাহ থেকে আসা এয়ার অ্যারাবিয়ার ফ্লাইট থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকার সোনা উদ্ধারের পর একই দিন একই কায়দায় ওমান থেকে এসেছে আরও প্রায় দেড় কোটি টাকার সোনা।
Advertisement
শুক্রবার রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে ওমানের রাজধানী মাস্কাট থেকে আসা একটি ফ্লাইটের লাগেজে পাওয়া রাইস কুকার থেকে এক কেজি ৮৫০ গ্রাম সোনা উদ্ধার করে কাস্টমস।
এর আগে সকালে ৭টা ২৪ মিনিটে আসা এয়ার অ্যারাবিয়ার ফ্লাইটের এক যাত্রীর লাগেজে পাওয়া রাইস কুকার থেকে এক কেজি ৭০০ গ্রাম সোনা উদ্ধার করা হয়েছিল।
চট্টগ্রামের কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বশির আহমেদ জানান, শুক্রবার রাতে মাস্কাট থেকে ওমান এয়ারের ডব্লিউওয়াই৩১৩ ফ্লাইটে আসা দুটি লাগেজ নেননি যাত্রীরা। শনিবার দুপুর পর্যন্ত লাগেজের কোনো দাবিদার না আসায় স্ক্যানিং করে এরমধ্যে অবৈধ পণ্যের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এরপর লাগেজে থাকা একটি রাইস কুকার থেকে বিশেষ কায়দায় লুকানো তিনটি সোনার বার উদ্ধার করা হয়। এতে পাওয়া যায় এক কেজি ৮৫০ গ্রাম স্বর্ণ। যার আনুমানিক বাজার মূল্য এক কোটি ৪৮ লাখ ১৮ হাজার ৫০০ টাকা।
Advertisement
আরও পড়ুন: রাইস কুকারে দেড় কোটি টাকার সোনা এনে ধরা মোহাম্মদ আলী
এর আগে একই দিন শারজাহ থেকে আসা এয়ার অ্যারাবিয়ার ফ্লাইটের এক যাত্রীর লাগেজে পাওয়া রাইস কুকার থেকে এক কেজি ৭০০ গ্রাম সোনা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মোহাম্মদ আলী নামে এক যাত্রীকে আটক করেন কাস্টমস কর্মকর্তারা।
সন্দেহ করা হচ্ছে শারজাহ এবং ওমান থেকে আসা দুটো চালানই একই চোরাচালান সিন্ডিকেটের।
চট্টগ্রাম কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আবদুল মতিন তালুকদার জাগো নিউজকে বলেন, হতে পারে আটক সোনা দুটির চালান একই চক্রের। সকালে একই কায়দায় রাইস কুকারে আনা স্বর্ণের চালান আটক হওয়ার খবরটি দ্বিতীয় চালানের যাত্রীরা জেনে যান। তাই হয়তো রাতের চালানটি বিমানবন্দর থেকে বের করা ঝুঁকি মনে করে তারা আর লাগেজ নেননি।
Advertisement
এমডিআইএইচ/জেডএইচ/জেআইএম