রাজধানীর মিরপুরে সড়কে বিদ্যুতায়িত হয়ে একই পরিবারের তিনজনসহ প্রাণ হারান ৪ জন। এ সময় অলৌকিকভাবে প্রাণে বেঁচে যায় ওই পরিবারের ৭ মাস বয়সী শিশু হোসাইন মোহাম্মদ। তবে কোনোভাবেই কান্না থামানো যাচ্ছে না বাবা-মা হারানো শিশু হোসাইনের। নিজের চারপাশে শুধু বাবা-মা ও বোনকে খুঁজছে অবুঝ শিশুটি।
Advertisement
শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে ঝালকাঠি সদর উপজেলার বাসন্ডা ইউনিয়নের আগলপাশা গ্রামে হৃদয়বিদারক এই দৃশ্য দেখা যায়। মা হারানো শিশুটির গগণবিদারী চিৎকারে ভারী হয়ে ওঠে এলাকার আকাশ-বাতাস। শিশুর কান্না শুনে কাঁদেন পাড়া-প্রতিবেশীরাও।
শিশু হোসাইনের ফুপু নাসরিন আক্তার জানান, কিছুতেই আমার ছোট বাবার কান্না থামছে না। আমার বাবা এখন আমার সঙ্গেই থাকবে। কিন্তু বাবা-মায়ের অভাব কীভাবে পূরণ করবো। সবাই আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন।
নিহত মিজান হাওলাদারের বাবা নাসির হাওলাদার বলেন, আমার ছেলে, ছেলের বউ ও নাতনির মরদেহ শুক্রবার রাত ৩টার দিকে ঝালকাঠিতে নিয়ে এসেছি। সকাল ৯টায় জানাজা শেষে গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়েছে। আমার ৭ মাস বয়সী নাতি হোসাইন মোহাম্মদকে আল্লাহ আমার চিহ্ন হিসেবে রেখেছেন। ওকে মানুষের মতো মানুষ করবো।
Advertisement
বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে অতিবৃষ্টিতে তলিয়ে গেলে মিরপুরের ঢাকা কমার্স কলেজ সংলগ্ন ঝিলপাড় বস্তির সামনের সড়কে বিদ্যুতায়িত হয়ে চারজনের মৃত্যু হয়। এরমধ্যে তিনজন একই পরিবারের। প্রাণে বেঁচে ফেরে নিহত মিজান-মুক্তা দম্পতির ৭ মাসের ছেলে হোসাইন।
আতিকুর রহমান/এফএ/এমএস