স্বতন্ত্র করদাতারা রিটার্ন দাখিলের জন্য সময় পাচ্ছেন ১ জুলাই থেকে আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে আয়কর রিটার্ন দাখিলে ব্যর্থ হলে জরিমানা দ্বিগুণ ও কর অব্যাহতি সুবিধা প্রত্যাহার করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
Advertisement
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের গাইডলাইন অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে স্বতন্ত্র করদাতাদের কর রিটার্ন দাখিলের সময় ১ জুলাই থেকে শুরু হয়ে শেষ হবে ৩০ নভেম্বর। এ সময়ের মধ্যে আয়কর রিটার্ন দাখিলে বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
আরও পড়ুন: রিটার্ন দাখিলে যেসব কাগজপত্র জমা দিতে হবে
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আয়কর রিটার্ন জমা দিলে করদাতারা যোগ্য পরিমাণ বিনিয়োগের ওপর ১৫ শতাংশ পর্যন্ত কর ছাড় পাবেন। যদি কোনো করদাতা জাতীয় আয়কর দিবসের (৩০ নভেম্বর) মধ্যে ট্যাক্স রিটার্ন জমা দিতে ব্যর্থ হন, তবে প্রকৃত কর দায় গণনা করার আগে বিনিয়োগের ছাড়ের পরিমাণ অবশ্যই যুক্ত করতে হবে।
Advertisement
এর আগে নির্দিষ্ট সময়ের পর আয়কর রিটার্ন জমা দিলে ব্যক্তিগত করদাতারা বিনিয়োগের যোগ্য পরিমাণের ওপর সাড়ে ৭ শতাংশ কর ছাড় পেতেন।
নতুন আয়কর আইনের আওতায় আয়কর রিটার্ন বিধিমালা সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর ওই প্রজ্ঞাপন ইস্যু করা হয়।
আরও পড়ুন: রিটার্ন দিলে ২২ খাতের আয়ে দিতে হবে না কর
নতুন প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সঞ্চয়পত্র, প্রভিডেন্ট ফান্ড, কল্যাণ তহবিল, জীবন বিমা, শেয়ারবাজারসহ অন্যান্য খাতে যে পরিমাণ বিনিয়োগ করা হয়, তা করদাতার জন্য অনুমোদিত বিনিয়োগ।
Advertisement
যদি কোনো করদাতা সময়মতো আয়কর রিটার্ন জমা দিতে ব্যর্থ হন তবে তাকে ২৪ মাস পর্যন্ত প্রতি মাসে কর দায়ের ওপর অতিরিক্ত ৪ শতাংশ সুদ দিতে হবে। টিআইএন ধারকের বার্ষিক আয় করযোগ্য আয়ের সীমার নিচে থাকলে করদাতা শনাক্তকরণ নম্বরধারীরা নির্ধারিত রিটার্ন ফর্মের মাধ্যমে তাদের ট্যাক্স রিটার্ন জমা দিতে বাধ্য।
এসএম/কেএসআর/এএসএম