ক্যাম্পাস

শাবিপ্রবি উপাচার্যের বক্তব্য পশ্চাৎপদ চিন্তার বহিঃপ্রকাশ

সম্প্রতি তথ্য অধিকার বিষয়ক এক সেমিনারে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের ‘তালেবানি কালচার’ নিয়ে দেওয়া বক্তব্যে পশ্চাৎপদ চিন্তার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছে শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট।

Advertisement

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ মন্তব্য করেন শাবিপ্রবি শাখা ছাত্রফ্রন্টের আহ্বায়ক তানভীর রহমান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শাবি উপাচার্য বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত তথ্য অধিকার বিষয়ক এক সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে বলেন, “সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয়, এখানে (বিশ্ববিদ্যালয়) ওপেন কালচার ছিল, ছেলেমেয়েরা যা খুশি তা-ই করতে পারতো। কেউ কিছু বলতে পারতো না। কারণ, তাদের বয়স ১৮ বছর। কিন্তু আমি বলেছি, সাড়ে ১০টার মধ্যে হলে ঢুকতে হবে। তারা (শিক্ষার্থী) এটার নাম দিয়েছে ‘তালেবানি কালচার’। তালেবানি কালচার নিয়ে আমি খুবই গৌরবান্বিত, এটা নিয়ে থাকতে চাই। আমি ওপেন কালচার চাই না।” উপাচার্যের এ বক্তব্য শিক্ষার্থীদের জন্য শুধু চরম অপমানজনক নয়, এতে চূড়ান্ত পশ্চাৎপদ চিন্তারও বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।

আরও পড়ুন: ‘তালেবানি কালচার’ নিয়ে আমি খুবই গৌরবান্বিত: শাবিপ্রবি উপাচার্য

Advertisement

এতে আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে একটি মুক্তবুদ্ধি ও গণতান্ত্রিক চর্চার জায়গা। এখানে ছাত্র-শিক্ষকদের পারস্পারিক বিনিময়ের মধ্য দিয়ে জ্ঞানের সৃজন ও বিকাশ ঘটবে। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ‘সিনিয়র স্কলার’ আর শিক্ষার্থীদের ‘জুনিয়র স্কলার’ হিসেবে দেখা হয়। কিন্তু শাবিপ্রবির উপাচার্যের বক্তব্যে চূড়ান্ত কর্তৃত্বের প্রকাশ পেয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোটা দুনিয়ার গণতান্ত্রিক চেতনাসম্পন্ন মানুষের কাছে ‘তালেবানি শাসন’ একটি অগণতান্ত্রিক শাসন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। সেখানে তিনি তার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সে শাসনকেও পরোক্ষভাবে সমর্থন জোগালেন। অর্থাৎ শাবিপ্রবি উপাচার্যের বক্তব্য বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক পরিবেশের পরিপন্থী।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট শাবিপ্রবি শাখার নেতারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের এ বক্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করেন এবং একইসঙ্গে এরকম বক্তব্যের তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেন তারা।

নাঈম আহমদ শুভ/এসআর/এএসএম

Advertisement