আন্তর্জাতিক

তৃতীয় দফায় কর্মী ছাঁটাই করছে ফুডপান্ডা, করবে ‘অংশ’ বিক্রি

তৃতীয় দফায় কর্মী ছাঁটাই চালাচ্ছে অনলাইনভিত্তিক খাবার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ফুডপান্ডা। এমনকি, এশিয়ার কয়েকটি দেশে ব্যবসার অংশ বিক্রির আলোচনাও করছে প্রতিষ্ঠানটি। ফুডপান্ডার অভিভাবক প্রতিষ্ঠান ‘ডেলিভারি হিরো’ও এসব বিষয় নিশ্চিত করেছে। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানায় মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি।

Advertisement

সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরও বেশি কর্মতৎপর হওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়ে আবারও কর্মী ছাঁটাই করার কথা জানিয়েছে ফুডপান্ডা। সিঙ্গাপুরে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটির সদর দপ্তর থেকে শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) সিএনবিসিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এদিকে, প্রতিষ্ঠানে ছাঁটাইয়ের কথা জানিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) কর্মীদের চিঠি দিয়েছেন ফুডপান্ডার এপিএসি সিইও জ্যাকব সেবাস্টিয়ান অ্যাঞ্জেল। সিএনবিসির সেই চিঠি হাতে পেয়েছে। অবশ্য ঠিক কত সংখ্যক কর্মচারীকে ছাঁটাই করা হচ্ছে বা কোন কোন বিভাগে ছাঁটাই চলছে, তা উল্লেখ করেননি জ্যাকব অ্যাঞ্জেল।

চিঠিতে বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে আমাদের কোম্পানির লক্ষ্য হলো আর হালকা, দক্ষ ও চটপটে হওয়া। আর তার জন্য আমাদের সব কর্মকাণ্ড আরও দক্ষ ও কার্যকর করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে আমরা আরও ভালোভাবে এগিয়ে যেতে পারি।

Advertisement

একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বলছে, অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি ও গত বছরের সেপ্টেম্বরে দুই দফাই কর্মী ছাটাই করে ফুডপান্ডা। এছাড়া অনলাইনে খাবার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহকারী অন্য প্রতিষ্ঠান গ্র্যাব ও ডেলিভারুও এ বছর তাদের কর্মীসংখ্যা কমিয়েছে।

এমন এক সময়ে কর্মী ছাঁটাই করা হচ্ছে, যখন ফুডপান্ডার অভিভাবক প্রতিষ্ঠান ডেলিভারি হিরো দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় কয়েকটি দেশে তার খাদ্য বিতরণ ব্যবসার অংশ বিক্রি করার জন্য সম্ভাব্য ক্রেতাদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। গত বুধবার জার্মানির নেতৃস্থানীয় ব্যবসায়িক পত্রিকা উইর্টশাফটসওচি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, ফুডপান্ডা ব্র্যান্ডের অধীনে সিঙ্গাপুর, কম্বোডিয়া, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড ও লাওসে ব্যবসার অংশ বিক্রি করছে ডেলিভারি হিরো।

জার্মান সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ফুডপান্ডার প্রতিযোগী ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় খাবার সরবরাহে শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান গ্র্যাবকে ক্রেতা হিসেবে দেখা যেতে পারে। তবে সিএনবিসি’র কাছে এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি গ্র্যাব।

সূত্র: সিএনবিসি

Advertisement

এসএএইচ