দেশজুড়ে

‘আগে বাজার করতে লাগতো ২৫০০ টাকা, এখন লাগে ৪০০০’

রাজবাড়ীতে সরকারের বেধে দেওয়া দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে আলু। খুচরা বাজারে প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকা কেজি দরে। তবে সরকার নির্ধারিত মূল্যেই বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ ও ডিম।

Advertisement

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাজবাড়ী শহরের বড় বাজার এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বর্তমানে রাজবাড়ীর বাজারে আলু ৪০-৪৫ টাকা, উচ্ছে ৬০, কাঁচা মরিচ ১২০, টমেটো ১০০, বেগুন ৪০, ঝিঙে ৪০, ধুন্দল ২৫, পেঁপে ৩০, বাঁধাকপি ৫০, ফুলকপি ৮০, পেঁয়াজ ৬৫-৭০, পটোল ৩০, মুলা ৪০ ও শসা ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মুরগির ডিম ৪৬-৪৮ টাকা ও হাঁসের ডিম ৭০-৭৫ টাকা হালি দরে বিক্রি হচ্ছে।

নাজমুল হক নামের একজন ক্রেতা, ‘জিনিসপত্রের দামে সাধারণ মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। সরকার আলুর দাম নির্ধারণ করেছে ৩৬ টাকা, কিন্তু বাজারে কিনতে হচ্ছে ৪০ টাকায়। সবজির দামও বেশি। মাছ-মাংসের তো আকাশচুম্বি দাম।’

Advertisement

আরও পড়ুন: আলু-পেঁয়াজের দামও বেঁধে দিলো সরকার

বাজার করতে এসেছিলেন মোকলেছুর রহমান। তিনি বলেন, ‘৭০ টাকা দরে এককেজি পেঁয়াজ কিনলাম। এটা তো অনেক বেশি। পেঁয়াজের কেজি ৫০ টাকা হলে আমাদের জন্য ভালো হয়।’

একটি ছাত্রাবাসে থাকেন শিক্ষার্থী নাঈমুর রহমান নাঈম। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘আগে মেসের তিনদিনের বাজার করতে লাগতো ২৫০০-৩০০০ টাকা। এখন সেখানে লাগে ৪০০০-৪৫০০ টাকা। যে কারণে খরচ মেটাতে কষ্ট হচ্ছে।’

প্রতি সপ্তাহে প্রায় এক ট্রে (৩০ পিস) ডিম লাগে নাঈমা ইসলামের। ডিমের দাম বাড়ায় ক্ষুব্ধ তিনিও। নাঈমা ইসলাম বলেন, ডিমের হালি ৪০ টাকার নিচে এলে ভালো হতো।

Advertisement

সবজি ব্যবসায়ী মো. তসলিম বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় শুধু আলুর দাম পাঁচ টাকা কমে ৪০ টাকায় বিক্রি করছেন। এছাড়া অন্যান্য সবজির দাম স্থিতিশীল রয়েছে।

তবে সরকারের বেধে দেওয়া দামেই পেঁয়াজ বিক্রি করছেন বলে জানান পেঁয়াজ ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন। তিনি বলেন, সামনে পেঁয়াজের দাম আরও বাড়বে।

এসআর/জিকেএস