বিশ্বব্যাপী ব্যক্তিগত মোটর গাড়ির সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। জানলে অবাক হবেন, ১৯৮৬ সালে প্রথম মোটর গাড়িটি নামে রাস্তায়। আর এখন সেই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে এক বিলিয়নেরও বেশি। তবে গাড়ির সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি দূষণ, শব্দ ও দুর্ঘটনাও বাড়ছে।
Advertisement
তাই ব্যক্তিগত গাড়ির প্রতি নির্ভরতা কমাতে বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর পালিত হয় গাড়িমুক্ত দিবস। এই দিবসের মূল্য লক্ষ্য হলো, ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার কমানো ও এর পরিবর্তে সাইকেল চালানো, হাঁটা বা পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার বাড়ানো।
আরও পড়ুন: সাইকেল চালালে সারবে যেসব কঠিন রোগ
যদিও ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারের অনেক সুবিধা আছে, তবে মনে রাখতে হবে বায় ও শব্দ দূষণের জন্য দায়ী কিন্তু অতিরিক্ত গাড়ির ব্যবহার। বিশ্ব গাড়ি মুক্ত দিবস কেন এত গুরুত্বপূর্ণ তা বোঝার জন্য, বায়ু দূষণ ও যানবাহন কীভাবে এতে অবদান রাখে তা জানা জরুরি।
Advertisement
মোটর গাড়ি থেকে নির্গত ধোঁয়া বায়ুতে ক্ষতিকর পদার্থ ছড়ায়। যা আমাদের স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। চারটি প্রধান দূষণকারী উপাদান যানবাহন থেকে আসে। এর মধ্যে আছে ফ্রিন পদার্থ, যা মানুষের ফুসফুসের ক্ষতি করে।
আরও পড়ুন: সাইকেল কেনার সময় যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন
এছাড়া নাইট্রোজেন অক্সাইডও বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে, যা অক্সিজেন ও নাইট্রোজেন এক ও অন্যটির সঙ্গে বিক্রিয়ার কারণে জ্বালানি পোড়ার সময় তৈরি হয়। হাইড্রোকার্বনও একটি গাড়ির নিষ্কাশন দ্বারা নির্গত হয়। এটি কার্বন ও হাইড্রোজেনের একটি বিষাক্ত যৌগ।
এছাড়া কার্বন মনোক্সাইড নির্গত হয় গাড়ির জ্বালানি থেকে। যা স্বাস্থ্যে বিরূপ প্রভাব ফেলে। এসব দিক বিবেচনা করেই বিশ্ব গাড়িমুক্ত দিবস পালিত হয় সবাইকে সচেতন করার জন্য ও ব্যক্তিগত গাড়ির পরিবর্তে সাইকেলের ব্যবহার বাড়ানোর উদ্দেশ্যে। এতে শরীরচর্চাও হবে আবার স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে।
Advertisement
আরও পড়ুন: কন্যাশিশুর আত্মবিশ্বাস বাড়াবেন যেভাবে
এমনকি শিশুদের বিকাশ ঘটাতেও এর অনেক ভূমিকা আছে। যেমন- তাদের মধ্যে সমন্বয়, ভারসাম্য ও একাগ্রতা বিকাশ ঘটে সাইকেল চালালে।
১৯৯০ সালে প্রথম অনানুষ্ঠানিক গাড়িমুক্ত দিবস পালন করা শুরু হয়। এরপর ২০০০ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘গ্লোবাল কার ফ্রি ডে’ বা ‘বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস’ চালু হয়।
বোগোটা ও জাকার্তার মতো অনেক বড় শহর এই দিনে তাদের কেন্দ্রীয় রাস্তাগুলো বন্ধ করে দেয়। পাশাপাশি হাঁটা ও সাইকেল চালানোর নানা ইভেন্টের আয়োজন করা হয়।
সূত্র: ডে’স অব দ্য ইয়ার
জেএমএস/এএসএম