রাজনীতি

ফখরুল লাখো জনতার সামনে ভাষণ দিচ্ছেন, ঠেকাতে পেরেছেন?

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসকে উদ্দেশ করে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, ‘কথাবার্তা বলতে একটু মুখটা সাবধান করে বলেন। মির্জা ফখরুল তো লাখো জনতার উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছেন। ঠেকাতে পেরেছেন?’

Advertisement

তিনি বলেন, ‘বুড়িগঙ্গায় এমন মাছের জন্ম হয়েছে, যেই মাছ আগে মশা খেতো, সেই মাছ এখন মানুষ খাচ্ছে। বুড়িগঙ্গার যে মাছ আপনি সরাতে পারেন না, ডেঙ্গু সরাতে পারেন না। আপনার সরকার মানুষকে ডিম খাওয়ার ব্যবস্থা করতে পারে না, আপনার মুখে এসব কথা কি শোভা পায়?’

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ ফোরাম (জিসফ) আয়োজিত প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার দাবিতে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

আরও পড়ুন: সাহস থাকলে ‘ভাতিজা কোটা’ ছাড়া মাঠে নামুন 

Advertisement

জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘আপনি (প্রধানমন্ত্রী) চান বিএনপি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাক। খালেদা জিয়া, তারেক রহমান নিশ্চিহ্ন হয়ে যাক। যেভাবে আট আনা দিয়ে গণভবন কিনে নিয়েছিলেন, সেভাবে বাংলাদেশের মালিক হতে চান আপনি। তাই খালেদা জিয়ার চিকিৎসা করাতে চান না। তাই আপনি বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠান।’

তিনি বলেন, ‘এই সরকার মানুষকে কথা দিয়েছিল ১০ টাকা কেজিতে চাল খাওয়াবে, মানুষ দরজা খুলে ঘুমাবে। একটি কথাও শেখ হাসিনা রক্ষা করতে পারেননি। আপনার (প্রধানমন্ত্রী) কাছে এর জবাব চাই। জবাব আজ হোক, কাল হোক আপনাকে দিতে হবে। বেগম খালেদা জিয়াকে আজকে যারা মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছেন, তাদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে।’

বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, ‘আপনার (শেখ হাসিনার) বিনা ভোটের মেয়র বলেন মির্জা ফখরুলকে ঢাকায় ঢুকতে দেবেন না। তাপস, তোমার বাবার সঙ্গে রাজনীতি করার সৌভাগ্য হয়েছে। কথাবার্তা বলতে একটু মুখটা সাবধান করে বলো। মির্জা ফখরুল তো লাখো জনতার উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছেন, ঠেকাতে পেরেছেন? তাই এসব কথা বলে নিজের দুর্বলতা প্রকাশ করছেন।’

আরও পড়ুন: তাপসের বক্তব্যে জমিদারি-সন্ত্রাসী ভাব রয়েছে 

Advertisement

তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর ইতিহাসে কোথাও লেখা নেই স্বৈরাচার দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকে। হাছান মাহমুদের মুখে জোর আছে এখন, ওবায়দুল কাদেরের মুখে জোর আছে এখন। ভোট চোরের মুখে এখন শক্তি বেশি। এই শক্তি তখনই শেষ হয়ে যাবে, যখন প্রজাতন্ত্রের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী জনগণের পক্ষে কথা বলা শুরু করবে। কারণ দিন বেশি নেই।’

ষড়যন্ত্র করে ছিন্নমূল (তৃণমূল) বিএনপি তৈরি করা হয়েছে উল্লেখ করে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে ঘরে রেখে অনেকে ছেড়ে গিয়েছিল। বড় বড় নেতারা দল করেছিল। টিকতে পারেনি, চুরমার হয়ে গেছে, রেল লাইনে অপমানিত হয়েছে। কোথায় তারা আজ? টিকে আছেন শুধু খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, মির্জা ফখরুলের মতো নেতারা। বাংলাদেশে গণতন্ত্র আসবে, সময় বেশি নেই। গণতন্ত্র আপনাকে (প্রধানমন্ত্রী) দিতে হবে। ভোট আপনাকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে দিতে হবে।’

আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে স্থানান্তর 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জিসফের সভাপতি মনজুর রহমান ভূঁইয়া। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলমের পরিচালনায় প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন- সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী, তাঁতী দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মনিরুজ্জামান মনির, মৎস্যজীবী দলের সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী, গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. তারেক রহমান, নবীন দলের সভাপতি হুমায়ুন কবির প্রমুখ।

কেএইচ/কেএসআর/জিকেএস