অর্থনীতি

রিটার্ন দাখিলে যেসব কাগজপত্র জমা দিতে হবে

চলতি অর্থবছরের বাজেটে ৪৪ ধরনের সেবা নিতে রিটার্ন জমা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এতদিন এসব সেবা নিতে গেলে করদাতাদের টিআইএন সার্টিফিকেটের কপি জমা দিতে হতো। কিন্তু এখন তাদের রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে।

Advertisement

নতুন আয়কর আইনের আওতায় আয়কর রিটার্ন বিধিমালা সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। গত ১২ সেপ্টেম্বরের ওই প্রজ্ঞাপন ১৪ সেপ্টেম্বর ইস্যু করা হয়।

রিটার্ন জমার ক্ষেত্রে করদাতাদের আয়ের যেসব প্রমাণপত্র প্রয়োজন চাকরি থেকে আয়ের ক্ষেত্রে বেতন বিবরণী, ব্যাংক হিসাব থাকলে কিংবা ব্যাংক সুদ খাতে আয় থাকলে ব্যাংক বিবরণী বা ব্যাংক সার্টিফিকেট, বিনিয়োগ রেয়াত দাবি থাকলে তার সপক্ষে প্রমাণাদি। যেমন, জীবন বিমার পলিসি থাকলে প্রিমিয়াম পরিশোধের প্রমাণ।

আরও পড়ুন: রিটার্ন দিলে ২২ খাতের আয়ে দিতে হবে না কর

Advertisement

বাড়িভাড়া থেকে আয়-বাড়ি ভাড়ার সমর্থনে ভাড়ার চুক্তিনামা বা ভাড়ার রশিদের কপি, মাসভিত্তিক বাড়িভাড়া প্রাপ্তির বিবরণ এবং প্রাপ্ত বাড়িভাড়া জমা সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসাব বিবরণী, পৌর কর, সিটি করপোরেশন কর, ভূমি রাজস্ব প্রদানের সমর্থনে রশিদের কপি। এছাড়া ব্যাংক ঋণের মাধ্যমে বাড়ি কেনা বা নির্মাণ করা হয়ে থাকলে ঋণের সুদের সমর্থনে ব্যাংক বিবরণী ও সার্টিফিকেট, গৃহ-সম্পত্তি বিমাকৃত হলে বিমা প্রিমিয়ামের রশিদের কপি, অন্যান্য ভাড়ার ক্ষেত্রে ভাড়ার প্রাপ্তি ও ব্যয়ের সমর্থনে দলিলাদি।

কৃষি থেকে আয়- বর্গা বা ভাগের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় দলিলাদি, ব্যবসা থেকে আয়- ব্যবসা বা পেশার আয়-ব্যয়ের বিবরণী ও স্থিতিপত্র এবং ব্যাংক বিবরণীসহ অন্যান্য প্রমাণ।

মূলধনি থেকে আয়- স্থাবর সম্পত্তি বিক্রি/হস্তান্তর হলে তার দলিলের কপি, উৎসে আয়কর জমা হলে তার চালানের ফটোকপি, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার লেনদেন থেকে মুনাফা হলে এ সংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্র।

আরও পড়ুন: ৫ লাখ টাকার কম আয় হলেই এক পাতার রিটার্ন ফরম

Advertisement

আর্থিক পরিসম্পদ থেকে আয়-সিকিউরিটিজ স্ক্রিপ্ট হলে তার ফটোকপি এবং স্ক্রিপ্ট ছাড়া হলে তার হিসাবের সমর্থনে বিবরণী, সুদ আয় থাকলে সুদ প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের প্রত্যয়নপত্র, প্রাতিষ্ঠানিক ঋণ নিয়ে বন্ড বা ডিবেঞ্চার কেনা হয়ে থাকলে ঋণের সুদের সমর্থনে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সার্টিফিকেট/ব্যাংক বিবরণী বা প্রাতিষ্ঠানিক প্রত্যয়নপত্র। নগদ লভ্যাংশ খাতে আয় থাকলে ব্যাংক বিবরণী, ডিভিডেন্ড ওয়ারেন্টের কপি বা সার্টিফিকেট, অন্যান্য উৎসের আয়ের খাতের ক্ষেত্রে ও আয়ের সমর্থনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। এছাড়াও অংশীদারি ফার্মের ক্ষেত্রে ফার্মের আয়-ব্যয়ের বিবরণী ও স্থিতিপত্র।

এসএম/কেএসআর/এমএস