টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একের পর এক অবিশ্বাস্য ক্যাচ ধরে বিস্ময় সৃষ্টি করে যাচ্ছেন বাংলাদেশের সৌম্য সরকার। পাকিস্তানের বিপক্ষে মোহাম্মদ হাফিজের অসাধারণ ক্যাচ ধরার পর ভারতের ব্যাটসম্যান হার্দিক পাণ্ডেরও অসাধারণ ক্যাচ ধরলেন তিনি। রীতিমত বিস্ময়কর। আর পরপর দুই বলে রায়না এবং হার্দিক পাণ্ডেকে ফিরিয়ে দিয়ে অসাধারণভাবে বাংলাদেশকে খেলায় ফিরিয়ে আনলেন আল আমিন হোসেন।কোহলি আউট হওয়ার পর মাঠে নেমেই যেন ঝড় তোলার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন পাণ্ডে। ৭ বলেই ২টি বাউন্ডারি এবং ১টি ছক্কায় ১৫ রান করেছিলেন পাণ্ডে। কিন্তু তাকে অসাধারণ ক্যাচে ফিরিয়ে দিলেন আল আমিন আর সৌম্য সরকার। হার্দিক পাণ্ডের পর আউট হলেন যুবরাজ সিংও। মাহমুদুল্লাহর বলে আল আমিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন যুবরাজ সিং। তার আগের বলেই ফিরিয়েছিলেন সুরেষ রায়নাকে। বিরাট কোহলির মত বিধ্বংসী হয়ে উঠছিলেন সুরেশ রায়না। ২৩ বলে ৩০ রান করেছিলেন তিনি। কিন্তু আল আমিনের বলে সাব্বির রহমানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন রায়না। তার আগে ফিরেছিলেন বিরাট কোহলিও। ২৪ বলে করলেন মাত্র ২৪ রান। মাশরাফি এবং সাকিবরা যখন উইকেট পাচ্ছিলেন না, তখন শুভাগতকেই বোলিংয়ে নিয়ে আসেন মাশরাফি। ১৪তম ওভারের প্রথম বলেই বাউন্ডারি। এরপর একটি সিঙ্গেল। পরের বলেও খেলেন ছক্কা। এরপরের বলেই অসাধারণ ডেলিভারিতে বোল্ড করে দিলেন বিরাট কোহলিকে। এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা একটু সতর্কভাবেই শুরু করেছিল ভারত। কিন্তু বোলিংয়ে মুস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে আসার পর কেন যেন হঠাৎ করে বিধ্বংসী হয়ে উঠতে শুরু করেছিলেন রোহিত শর্মা আর শিখর ধাওয়ান। তবে, শেষ রক্ষা আর করতে পারলেন না রোহিম শর্মা। ৬ষ্ঠ ওভারের শেষ বলে মুস্তাফিজুর রহমানকে ছক্কা মারতে গিয়ে আকাশে বল তুলে দেন রোহিত। মিডউইকেটে ক্যাচটি লুফে নেন সাব্বির রহমান।৭ম ওভারেই আউট হয়ে গেলেন শিখর ধাওয়ান। ওভারের শেষ বলে সাকিব আল হাসানের বলে শট খেলতে গিয়ে পুরোপুরি পরাস্ত হন। জোরালো আবেদন উঠতেই আঙ্গুল তুলে দিলেন আম্পায়ার অক্সেনফোর্ড।প্রথম ওভারেই বল করতে এসেছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। দ্বিতীয় ওভার তুলে দিয়েছিলেন শুভাগত হোমের হাতে। এরপর আনা হয় আল আমিনকে। চার নম্বরে আসেন মু্স্তাফিজ।এ রিপোর্ট লেখার সময় ভারতের রান ১৭ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১১৮। উইকেটে ধোনি ৩ রান নিয়ে এবং রবিন্দ্র জাদেজা রয়েছেন ০ রানে।আইএইচএস/আরআইপি
Advertisement