তরুণরা নাকি শুধু ফেসবুক আর মুঠোফোনে আসক্ত। সমাজ বা দেশের আর কিছু নিয়ে নাকি তাদের ভাববার সময় নেই। কে বলে এমন কথা...? অন্তত ৯ ডিসেম্বর ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি মিলনায়তনে গিয়ে কিছুটা ভুল ভাঙ্গলো। তবে আরও অবাক করা খবর হলো, এখানে উপস্থিত তরুণরা পরিবেশ-জলবায়ু নিয়ে নানা বিষয়ে কথোপকথনে ব্যস্ত। পরিবেশ বিপর্যয় আর রক্ষার নানা বিষয়ে প্রশ্ন-উত্তরে মিলনায়তন হয়ে উঠেছিল এক টুকরো বাংলাদেশ, সবুজ ভাবনার বাংলাদেশ।এদিন পরিবেশ বিষয়ক সংগঠন সবুজপাতা ও রিড্রলাইন বাংলাদেশ এর যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় এক তারুণ্য সংলাপ। এতে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ম্যাগসেসাই পুরস্কারপ্রাপ্ত আইনবিদ বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওনা হাসান, ব্রাইট গ্রীন এনার্জি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও সিইও দিপাল চন্দ্র বড়ুয়া, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য ড. গোলাম রহমান, সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের চেয়ারম্যান সৈয়দ মিজানুর রহমান, একই বিভাগের শিক্ষক শেখ শফিউল ইসলাম, রিড্রলাইন বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর নুসরাত খান এবং সবুজ পাতার প্রতিষ্ঠাতা সাহেদ আলম।সবুজ পাতার ট্রাস্টি বায়েজিদ আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠান পরিচালিত অনুষ্ঠানে বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওনা হাসান তার পরিবেশকর্মী হয়ে ওঠার গল্প দিয়ে শোনান। গল্পে গল্পে জানিয়ে দেন তার অতীত, বর্তমান ভবিষ্যতের নানা কথা। তবে সবখানেই ছিল পরিবেশের প্রাধান্য।সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, পরিবেশ নিয়ে কাজ আর শুধু সমস্যার কথা বললে হবেনা বলতে হবে সমাধানের উপায়। পরিবেশ নিয়ে কাজ করা কোন রোম্যান্টিক এজেন্ডা নয় এটা বেঁচে থাকার বিষয়, অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার বিষয়। বেঁচে থাকার জন্যই আমাদেরকে পরিবেশ নিয়ে কাজ করতে হবে।
Advertisement
ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা মোকাবেলা করতে আমরা যখন হিমশিম খাচ্ছি আমাদের মাথায় একটা বিষয়ই কাজ করে তা হল নবায়নযোগ্য জ্বালানী। এ নবায়নযোগ্য জ্বালানীর অন্যতম উৎস সৌর বিদ্যুৎ নিয়ে কথা বলেন, বাংলাদেশে সৌর বিদ্যুত আন্দোলনের অন্যতম দিকপাল দীপাল চন্দ্র বড়ুয়া। সৌরবিদ্যুত নিয়ে তার নানা ভাবনার কথাও জানান তারুণ্যের সংলাপে।পরিবেশ নিয়ে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিও উদ্যোগী বলে জানানো হয় অনুষ্ঠানে। জানানো হয়, গাবতলী থেকে ধানমন্ডি পর্যন্ত মিরপুরের রোডের আইল্যান্ডে বৃক্ষরোপণ করেছে ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি।