চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে ভূমিহীনদের নামে সরকারি বরাদ্দ হওয়া ঋণের টাকা আত্মসাতের ঘটনার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় সৈয়দ হাসানুজ্জামান লোটন নামে একব্যক্তিকে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
Advertisement
দণ্ডিত হাসানুজ্জামান লোটন রাজধানী ঢাকার মোহাম্মদপুর ইকবাল রোডের ‘রিহ্যাবিলিটেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন ফর ল্যান্ডলেস (র্যাডল)’ নামে একটি এনজিও সংস্থার মহাসচিব। তিনি টাঙ্গাইল জেলার সদর থানার আকুরটাকুর পাড়ার শিমুলতলী রোডের মৃত সৈয়দ এম এন হুদার ছেলে।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুন্সি আবদুল মজিদ এ রায় দেন। রায়ের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন আদালতে দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান চৌধুরী।
তিনি বলেন, আদালত ৪০৬ ও ৪২০ ধারায় আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দেন। এরমধ্যে ৪০৬ ধারায় দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। অন্যদিকে, ৪২০ ধারায় একই দণ্ড দেন বিচারক। তবে, আদালত রায়ে দুই ধারার দণ্ড একত্রে চলবে বলে উল্লেখ করেছেন। তাই আসামিকে সবমিলিয়ে দুই বছর সাজা ভোগ করতে হবে। রায় ঘোষণার সময় আসামি পলাতক ছিলেন। পরে তার বিরুদ্ধে আদালত সাজা পরোয়ানা জারি করা হয়।
Advertisement
মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম জেলার ১২টি আদর্শ গ্রামের সদস্যদের মাথাপিছু সাড়ে তিন হাজার টাকা ঋণ বিতরণের জন্য র্যাডল নামের এনজিওটিকে ১৯৯৪ সালে ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে ৪ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এনিয়ে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে র্যাডলের মহাসচিব সৈয়দ হাসানুজ্জামান লোটন চুক্তি হয়। চুক্তি মোতাবেক এসব টাকা সদস্যদের মধ্যে ঋণ হিসেবে বিতরণ এবং ফেরত নিয়ে মেয়াদান্তে ৩ শতাংশ সার্ভিস চার্জসহ সরকারকে ফেরত দেওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে ফটিকছড়ি উপজেলার আজিমপুর আদর্শ গ্রামের জন্য ৭০ হাজার টাকা বরাদ্দ ছিল। চুক্তি মোতাবেক এসব টাকা ফেরত না দিয়ে আত্মসাৎ করেন তিনি। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৩ সালে ফটিকছড়ি থানায় মামলা করে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো। পরে আদালতে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
ইকবাল হোসেন/এমএএইচ/জেআইএম