ক্যাম্পাসে যাওয়ার কথা বলে গত ২২ আগস্ট বাসা থেকে বের হন ইমতিয়াজ আহম্মেদ তন্ময় (২২)। এরপর আর ফেরেননি তিনি। সন্ধান চেয়ে ভাসানটেক থানায় পরিবারের পক্ষ থেকে সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করা হয়েছে। তবে পুলিশ তাকে এখনো খুঁজে বের করতে পারেনি।
Advertisement
ইমতিয়াজ আহমেদ তন্ময় সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ তৃতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। ক্যান্টনমেন্টের মাটিকাটা এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন তিনি। তার বাবা নেই। পরিবারের দেখভাল করেন ইমতিয়াজের মা তাসলিমা বেগম।
নিখোঁজ সন্তানের সন্ধানে থানা-পুলিশ, র্যাব দপ্তরসহ সব জায়গায় ছুটছেন তাসলিমা বেগম। তিনি জানান, গত ২২ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে ইমতিয়াজ আহমেদ তন্ময় বাসা থেকে বের হন। তিনি তার মাকে বলেন, ‘আম্মু, ক্যাম্পাসে যাচ্ছি। একটু পরই চলে আসবো।’ তবে দিন গড়িয়ে সন্ধ্যা নামলেও আর বাসায় ফেরেননি ইমতিয়াজ। তার কাছে কোনো মোবাইল ফোনও ছিল না। ফলে যোগাযোগ করাও সম্ভব হয়নি। গত এক মাসেও তার কোনো সন্ধান মেলেনি।
তাসলিমা বেগম বলেন, ‘ওর (ইমতিয়াজ) বাবা ৬ বছর আগে মারা গেছেন। সন্তানদের অনেক কষ্টে মানুষ করেছি। কয়েক বছর আগে আমার বড় মেয়েটাও মারা গেছে। একটা মাস হয়ে গেলো ছোট ছেলেটাও নিখোঁজ। কেউ আমার ছেলেটাকে খুঁজে দিচ্ছে না। পুলিশ, র্যাব, বিশ্ববিদ্যালয়ের সবার কাছে গেছি। কেউ খুঁজে দেয়নি।’
Advertisement
আরও পড়ুন>> মেঘনায় বন্ধুদের সঙ্গে গোসলে নেমে কিশোর নিখোঁজ
ইমতিয়াজের সন্ধান চেয়ে গত ২৮ আগস্ট ভাসানটেক থানায় জিডি করা হয়েছে বলে জানান বড় ভাই তোফাজ্জল হোসেন। তিনি বলেন, ‘আব্বু ও বড় আপা মারা যাওয়ার পর ও কেমন জানি চুপচাপ হয়ে গেছিল। কারও সঙ্গে তেমন কথা বলতো না। সবসময় একা থাকতো।’
তবে শিক্ষার্থী নিখোঁজের বিষয়টি জানেন না বলে দাবি করেছেন সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার মেজর জেনারেল ফখরুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আমরা এটা জানি না। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে বিস্তারিত জানতে হবে।’
ভাসানটেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানে আলম মুনসি জাগো নিউজকে বলেন, ‘নিখোঁজ ইমতিয়াজের কাছে কোনো মোবাইল ফোন ছিল না। এজন্য তাকে ট্র্যাক করা যায়নি। প্রযুক্তিগত কোনো উপায়ে তাকে খোঁজার সুযোগ নেই। আমরা তাকে খুঁজে বের করে পরিবারের কাছে ফেরানোর জন্য তৎপর রয়েছি।’
Advertisement
এএএইচ/ইএ/জিকেএস